মিল্টন সেন: দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ এবার পৌঁছে যাবে শহরবাসীর ঘরে ঘরে। রেশন দোকানের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে এই প্রসাদ। বৃহস্পতিবার হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার মিটিং হলে রেশন ডিলারদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই পরিকল্পনা ঘোষণা করেন মহকুমা শাসক অমিত সান্যাল শুক্লা। মহকুমা শাসক জানান, ‘প্রসাদ কীভাবে বিলি হবে তা নিয়ে রেশন ডিলারদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হয়েছিল। আপাতত প্রথম দফায় যে পরিমাণ বরাদ্দ পাওয়া গেছে, তাতে হুগলি চুঁচুড়া পুরসভা এলাকায় প্রায় ২৫ থেকে ২৬ হাজার বাড়িতে প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। প্রসাদ যাতে সহজেই মানুষের কাছে পৌঁছায় সেরকম পরিকল্পনা করা হচ্ছে। একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে প্রসাদ তৈরি করলে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ধাপে ধাপে বিলির কথা ভাবা হয়েছে’।
তিনি আরও জানান, ‘জগন্নাথ দেবের ছবি ও ডালা সহ প্যাকেজিং এখনও এসে পৌঁছায়নি। সে কারণে বিলি কবে থেকে শুরু হবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দপ্তর থেকে রেশন ডিলারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেশন কার্ড থাক বা না থাক, যে কেউ এই প্রসাদ নিতে পারবেন। এটি ভগবানের প্রসাদ, তাই কার্ডের বাধ্যবাধকতা নেই। রেশন দোকানকে কেবলমাত্র একটি বিতরণ কেন্দ্র হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে’। এই উদ্যোগে খুশি রেশন ডিলাররাও। কল্যাণেশ্বর সাহা নামে এক ডিলার জানান, ‘আমরা গর্বিত যে জগন্নাথ দেবের প্রসাদ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পেয়েছি। আমরা চাই, একসঙ্গে সব দোকানে প্রসাদ পৌঁছে যাক, যাতে মানুষ একসাথে পায়। দোকানে যথেষ্ট চাপ থাকলেও আমরা গুরুত্ব দিয়ে কাজটি করব। অল্প অল্প করে দিলে নষ্টও হবে না’।