সুমন ঘোষ, খড়্গপুর
নারীর ক্ষমতায়নে নতুন ইতিহাস রচনা করবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা! ‘লাখপতি দিদি’ তৈরি করতে কোমর বেঁধে নামছে প্রশাসন। লক্ষ্য, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের বছরে ন্যূনতম ১ লক্ষ টাকা আয় নিশ্চিত করা। আর এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে একগুচ্ছ পরিকল্পনাও নিয়েছে প্রশাসন।
প্রশাসন জানিয়েছে, একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে কমপক্ষে ১০ জন সদস্য থাকেন। গোষ্ঠীর উদ্যোগী মহিলাদের নানা ভাবে সাহায্য করা হবে। চাইলে তাঁরা মাছ চাষ করতে পারেন, হাঁস-মুরগি পালন করতে পারেন, মৌমাছি পালন করতে পারেন আবার আনাজ কিংবা ধান চাষও করতে পারেন।
ইচ্ছে করলে ছাগল পালন করে ছাগলের বাচ্চাও বিক্রি করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তাঁদের প্রোডিওসার গ্রুপ হিসেবে ধরে সেখান থেকেই সরকার ছানা কিনে অন্য উপভোক্তাদের দেবে। এ ভাবেই একজনের বাৎসরিক আয় হবে বছরে ১ লক্ষ টাকা।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা গ্রামীন উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রজেক্ট ডিরেক্টর গোবিন্দ হালদার জানান, ‘২০২৪-২৫ আর্থিক বছর থেকে জেলায় এই কাজ শুরু হয়েছে। গত আর্থিক বছরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৬৫ হাজার সদস্যকে ‘লাখপতি দিদি’ তৈরিও করা গিয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ১ লক্ষ দিদিকে ‘লাখপতি দিদি’ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নামছি আমরা।’
প্রজেক্ট ডিরেক্টর জানান, ১২০ জন লাখপতি দিদির জন্য একজন করে রিসোর্স পার্সন নিয়োগ করা হবে। যাঁরা নিয়মিত তাঁদের কাছে যাবেন। তাঁরা যে এলাকায় বাস করেন, সেই এলাকার নিরিখে কোন চাষ বা কোন পশু পালন করা সম্ভব, সেগুলো বুঝিয়ে দেবেন।
তারপরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করানোর পাশাপাশি সেই দপ্তরের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের দিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করানো হবে। তারপর শুরু হবে প্রকল্পের মূল কাজ। শুধু উৎপাদন করেই শেষ নয়, তাঁদের উৎপাদিত সামগ্রী বিপণনেও সাহায্য করবে প্রশাসন। এ ভাবেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের ‘লাখপতি দিদি’ করা হবে।