বর্ষার ‘ব্রেক জার্নি’। লেট হলেও অবশেষে দক্ষিণবঙ্গে ঢুকতে চলেছে মৌসুমী বায়ু। চলতি বছর নির্ধারিত সময়ের থেকে দেরিতে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করবে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী ১৬ বা ১৭ জুন দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে পারে বর্ষা। কিন্তু এখনই কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত পাওয়ার সম্ভাবনা কম। জুনের শেষ সপ্তাহ বা জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে দক্ষিণবঙ্গকে। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের আগেই অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, এ দিন ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। কিন্তু বৃষ্টিপাত হলেও আপেক্ষিক আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তিতে বাড়বে ভোগান্তি। বৃষ্টি থামলেই চেনা ভ্যাপসা গরম ও অস্বস্তি ফিরবে। কলকাতা থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই এ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। শুক্রবার বিকেলের পর কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ দিন সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। পাশাপাশি বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯০ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬১ শতাংশ।
রবিবারের মধ্যে তাপমাত্রা কমবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। আগামী সোমবার ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কিছু অংশে। মঙ্গলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়।
শুক্রবার উত্তরবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং উত্তর দিনাজপুর জেলা ভিজতে পারে। এ দিন উত্তরবঙ্গে সবথেকে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা জলপাইগুড়ি জেলাতে। শনি ও রবিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে উত্তরবঙ্গে।
শনিবার অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি হয়েছে জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলার জন্য। দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার জেলাগুলিততেও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। রবিবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায়।