এই সময়, বালুরঘাট: কিছুদিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগণার কাকদ্বীপে এক বাংলাদেশি নাগরিকের সন্ধান মেলে, যিনি আবার ভারতেরও ভোটার। নিউটন দাস নামে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। বর্তমানে তিনি শ্রীঘরে।
ঠিক এই আবহে নিউটনের মতোই আরও এক ব্যক্তির সন্ধান মিলেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারপাড়া এলাকায়। এই বক্তির নাম কালীপদ শীল। তিনি আদতে বাংলাদেশের নাগরিক।
চার বছর আগে ওই দেশ থেকে ভারতে আসেন। তারপরে আর ফেরেননি। এরই মাঝে কোনও জাদুবলে তিনি হয়ে উঠেছেন ভারতের নাগরিকও। আধার এবং ভোটার কার্ড পর্যন্ত রয়েছে তাঁর। চাঞ্চল্যকর বিষয়টি হল, এই পরিচয়পত্রগুলি তিনি এ দেশে আসার পরে তৈরি করাননি।
বাংলাদেশে থাকতেই কালীপদর কাছে ভারতের পরিচয়পত্র ছিল। তাঁর দাবি, তিনি বাংলাদেশে থাকলেও প্রতিবার নিয়ম করে তাঁর নামে ভোট পড়ে গিয়েছে। কালীপদর কথায়, ‘আমার আসল বাড়ি বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার মুকুন্দপুর ধামইরহাটে। বাংলাদেশে থেকেই এ দেশের ভোটার লিস্টে নাম তুলেছি। তারপরে এখানে এসে থাকতে শুরু করি।’
ভারতে আসার পরে কালীপদ কামারপাড়ায় বসবাস শুরু করেন। এখানকার ঠিকানাই দেওয়া রয়েছে তাঁর ভোটার এবং আঁধার কার্ডে। গত চার বছরে নিজে বুথে গিয়ে বেশ কয়েকবার ভোটও দিয়েছেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, কামারপাড়ায় তাঁর প্রতিবেশীদের মধ্যে অনেকেই বিষয়টি জানেন।
অথচ পুলিশের কাছে এ বিষয়ে কেউ কোনও অভিযোগই জানাননি। পুলিশের কাছেও কোনও তথ্যও নেই। বালুরঘাট সদরের ডিএসপি বিক্রম প্রসাদ বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এতদিন অভিযোগ ছিল, ভারতে আসার পরে এখানকার আধার–ভোটার কার্ড বানিয়ে এ দেশের নাগরিক হয়ে গিয়েছেন অনেকে। কিন্তু কালীপদর দাবি অনুযায়ী বাংলাদেশেও তৈরি হচ্ছে ভারতের আধার–ভোটার কার্ড। যা দেশের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াতে পারে।