উৎসবের ভিড়কে কাজে লাগিয়ে পালিয়েছিল শ্বেতা, পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে বারবার পোশাক বদলে পাল্টাচ্ছিল ডেরা ...
আজকাল | ১৩ জুন ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: উৎসবের ভিড়কেই পালানোর কাজে লাগিয়েছিল সোদপুরের তরুণী নির্যাতনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শ্বেতা ওরফে ফুলটুসি। গত ৭ জুন ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান থাকায় বিভিন্ন রাস্তাঘাটে ভিড় ছিল। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় শ্বেতা ও তার পুত্র আরিয়ান। বুধবার রাতে দফায় দফায় জিজ্ঞেস করার পর তারা পুলিশকে জানায় এখবর।
হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা জানিয়েছে গত ৭ জুন ইদ উৎসব থাকায় রাস্তাঘাটে ভিড় একটু বেশি ছিল। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশও উৎসবে বেশি নজর দিয়েছিল। এই সুযোগটা কাজে লাগাতে এলাকা থেকে বেরিয়ে যায় শ্বেতা ও আরিয়ান। এরপর একটি গাড়ি করে চম্পট দেয় তারা। তার আগে পুলিশ থেকে বাঁচতে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় তারা। দু'জনের মোবাইল পরীক্ষা করে জানতে পেরেছে পুলিশ। তবে শেষরক্ষা হয়নি। দু'জনেই গ্রেপ্তার হয়েছে।
হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সাউথ সুরিন্দর সিং জানিয়েছেন, 'গত ৭ জুন ইদ ছিল। এলাকায় ভিড় ছিল। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে মা ও ছেলে গাড়ি করে পালিয়ে যায়। তবে পালানোর সময় তারা ঠিক কোথায় কোথায় গিয়েছিল তা এখনও পরিষ্কার নয়।'
ডিসি জানিয়েছেন, যে তরুণী নির্যাতিতা হয়েছেন তাঁর অভিযোগ, তাঁকে জোর করে বার ড্যান্সারের কাজে নিয়োগ করার চেষ্টা হয়েছিল। সেইসঙ্গে 'পর্ন মাফিয়া' বলে যে অভিযোগ উঠেছে সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ দেওয়ার নাম করে সোদপুরের এক তরুণীকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে শ্বেতা ও তার পুত্র আরিয়ানের বিরুদ্ধে। ওই তরুণী শেষপর্যন্ত পালিয়ে বাঁচেন বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশের অন্য একটি সূত্র জানায়, পালানোর সময় নিজের পুরনো মোবাইল ব্যবহার না করে নতুন একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু করে শ্বেতা। এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সে যোগাযোগ রাখছিল তার পুত্র ও কন্যার সঙ্গে। পালানোর সময় বারুইপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে সে মেয়েকে রাখে। এরপর ছেলেকে নিয়ে পালাতে শুরু করে। পালানোর সময় একাধিকবার নিজের পোশাক বদল করে শ্বেতা। কিন্তু ভুল করে বসে ছেলেমেয়েদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রেখে। অবশেষে ফোন ট্র্যাক করেই কলকাতায় আলিপুর এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়।