মেটিয়াবুরুজে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলা গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার মামলা গ্রহণ করে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিনই এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।
দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে বুধবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মেটিয়াবুরুজের রবীন্দ্রনগর থানা সংলগ্ন এলাকা। ভাঙচুর হয় একটি সম্প্রদায়ের বাড়ি - গাড়ি - দোকান। মহিলাদেরও মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় তুমুল ইটবৃষ্টি। যা নিয়ন্ত্রণে কালঘাম ছুটে যায় কলকাতা পুলিশ ও ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার পুলিশ আধিকারিকদের। দুষ্কৃতীদের ছোড়া ইটে আহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন পুলিশকর্মী। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ৪০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দায়ের হয়েছে ৭টি FIR.
ওদিকে মেটিয়াবুরুজে হিংসার খবর ছড়াতেই হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপ করার দাবি তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে দেখা করতে ভবানী ভবনে ছুটে যান তিনি। যদিও রাজীব কুমারের দেখা পাননি বিরোধী দলনেতা। এর পর তিনি জানান, মেটিয়াবুরুজের ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার প্রশ্নোত্তর পর্বের পর বিধানসভা অচল করবে বিজেপি। তখনই আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানান তিনি।
মেটিয়াবুরুজে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আবেদন জানিয়ে শুভেন্দুবাবুর দাবি, রাজ্য পুলিশ সেখানে হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। পুলিশের ওপর আস্থা হারিয়েছেন হিন্দুরা। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান, সামসেরগঞ্জের ঘটনাতেও পুলিশের একই রকম ভূমিকা দেখা গিয়েছে। এর পর সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ অনুসারে এই ধরণের ঘটনায় ৩১ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যের যে কোনও জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যেতে পারে। তাই মেটিয়াবুরুজেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হোক।