ফের চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ। রোগীকে ঠিক মতো চিকিৎসা না করার অভিযোগকে ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার বাঁকড়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে ভাঙচুর চালায় ওই নার্সিংহোমে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বাঁকড়া ফাঁড়ির পুলিশ। তাদের হস্তক্ষেপেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনার সূত্রপাত, বুধবার রাত দশটা নাগাদ। হাওড়ার বাঁকড়া মুন্সীডাঙ্গা শেখ পাড়ার বাসিন্দা টিনা বেগমকে অসহ্য পেটের যন্ত্রণা নিয়ে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করেন তাঁর পরিবার। তাঁর শ্বশুরবাড়ি হুগলির ডানকুনিতে। টিনার বাড়ির লোকের অভিযোগ, যখন তাঁকে ওখানে নিয়ে আসা হয় তখন তাকে চিকিৎসক কোনও কিছু পরীক্ষা না করে শুধু যন্ত্রণা বন্ধের একটি ইঞ্জেকশন দেন। তারপরেই রোগীর অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়। রাত পৌনে বারোটা নাগাদ মারা যান ৩২ বছর বয়সি ওই তরুণী।
এভাবে তরুণীর মৃত্যুর খবর চাউর হতে এলাকার বাসিন্দারা ভিড় জমায় ওই নার্সিংহোমে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে তারা ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। টেবিল, চেয়ার, আসবাবপত্র, সিসিটিভির এবং চিকিৎসার যন্ত্রপাতি কোন কিছুই বাদ যায়নি বাসিন্দাদের ক্ষোভের আঁচ থেকে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বাঁকড়া ফাঁড়ির পুলিশ এবং র্যাফ। পুলিশ কর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর আগেও ওই নার্সিংহোমে চিকিৎসার গাফিলতিতে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। তার পরও কর্তৃপক্ষের কোনও বোধোদয় হয়নি। শুধুমাত্র অর্থ আয়ের জন্য গরিব মানুষকে চিকিৎসার নামে ঠকানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বাসিন্দারা। তাদের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে হাসপাতালের সম্পত্তির উপর।
ভাঙচুরের সময় চিকিৎসক এবং অন্যান্য কর্মীরা পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।