• বিরতির পর ফের গতির আশা মৌসুমি বাতাসে, কবে দেখা মিলবে বৃষ্টির?
    এই সময় | ১২ জুন ২০২৫
  • এই সময়: তাড়াহুড়ো করে ঢুকে পড়ার কয়েক দিন পরেই গতি হারিয়ে একেবারে ‘চুপচাপ’ হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। গোটা একটা সপ্তাহ এমন ভাবে ঝিমিয়ে থাকার পর ফের বর্ষার বাতাস নড়াচড়ার লক্ষণ দেখাতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।

    বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম-মধ্য প্রান্তে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তারই প্রভাবে থমকে যাওয়া মৌসুমি বায়ু ফের কিছুটা নড়াচড়ার লক্ষণ দেখাতে শুরু করেছে।

    দেশে বর্ষার বাতাস ঢোকার নির্ধারিত তারিখ ১ জুন। এ বছর তার বেশ কয়েক দিন আগেই অর্থাৎ ২৪ মে কেরালায় বর্ষা নেমেছিল। উত্তরবঙ্গে বর্ষা শুরু হয় সাধারণত ৭ জুন নাগাদ। কিন্তু দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বাতাসের বঙ্গোপসাগরীয় শাখা প্রবল গতিতে উত্তরবঙ্গে ঢুকে পড়েছিল ২৯ মে। তার পরেই সব চুপচাপ।

    মৌসম ভবন অবশ্য জানিয়েছিল, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বাতাসের এমন গতি হারানোর নজির অতীতেও অনেক আছে। আসলে ভারতে বর্ষার বাতাস কখনওই নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ঢোকে না। ভারত মহাসাগরের উত্তর দিক থেকে দফায় দফায় জলীয় বাষ্পে পরিপূর্ণ বাতাস ভারতে প্রবেশ করে।

    প্রাথমিক ঢেউয়ের পর্ব মিটে যাওয়ার পর সমুদ্রে নতুন কোনও ওয়েদার সিস্টেম তৈরি না হওয়া পর্যন্ত মৌসুমি বাতাসের পরবর্তী ঢেউ প্রবেশের মতো শক্তি পায় না। এতদিনে অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব উপকূলে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ায় বর্ষার বাতাসের নড়াচড়ার সম্ভাবনা কিছুটা বাড়ল।

    মৌসুমি বাতাস টানা দু’সপ্তাহ একই জায়গায় আটকে থাকার ফলে গোটা দেশ ১১ জুন পর্যন্ত গড়ে ৪০.১ মিমির বদলে মাত্র ২৬.৪ মিমি বৃষ্টি পেয়েছে। দেশের পূর্বাঞ্চল ৯৩.৩ মিমির পরিবর্তে পেয়েছে মাত্র ৭১.৩ মিমি বৃষ্টি।

    মৌসম ভবন জানিয়েছে, শুধু বঙ্গোপসাগর নয়, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার উপরে আলাদা করে দু’টি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকতে শুরু করেছে দেশের পূর্ব ও মধ্য ভাগে।

    শুধু জলীয় বাষ্পর প্রবেশই নয়, জোড়া ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবেই সামনের সপ্তাহে মধ্যভারত পর্যন্ত অনেকটা এলাকায় মৌসুমি বাতাস ঢুকে পড়বে বলে আশা করছেন আবহবিদরা। তার আগে অবশ্য দক্ষিণবঙ্গে টানা কয়েক দিন বিক্ষিপ্ত ভাবে প্রাক-বর্ষার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)