• সাড়ে পাঁচ মাসে ২৬টি মামলার সাজা ঘোষণা জেলা আদালতে
    বর্তমান | ১২ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: গত সাড়ে পাঁচ মাসে ২৬টি মামলার সাজা ঘোষণা হল জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে। এর মধ্যে ফাঁসির সাজা হয়েছে চারটি মামলায়। এছাড়াও ১৮টি পকসো মামলায় সাজা হয়েছে। ধূপগুড়ির এগারো বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় বুধবার দোষীর ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালত। জেলা পুলিস সুপার খণ্ডবাহালে উমেশ গণপত বলেন, চলতি বছর এখনও পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে ২৬টি মামলায় সাজা ঘোষণা হল। প্রতিটি মামলাতে পুলিস সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, যা বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হতে সাহায্য করেছে। এদিকে, দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শেষে দোষীরা সাজা পাওয়ায় খুশি বিচারপ্রার্থীরা। গত বছর ৪৮টি মামলায় সাজা হয় জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে। এর মধ্যে ১৬টি পকসো মামলায় সাজা হয়। আটটি খুনের মামলাতেও সাজার নির্দেশ দেয় আদালত। এবছর প্রথম চার মাসের মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে ২২টি মামলার সাজা ঘোষণা হয়। এর মধ্যে ফাঁসির সাজা ছিল তিনটি। পকসো মামলায় সাজা হয়েছিল ১৫টি। এপ্রিলে পরপর তিনদিনে ৩টি মামলায় সাজার নির্দেশ দেয় জলপাইগুড়ি বিশেষ পকসো আদালত।

    গত ৪জুন বানারহাটের একটি পকসো মামলায় থানায় অভিযোগ দায়েরের ১৪ মাসের মধ্যে দোষীর সাজা হয়েছে। ধূপগুড়ির নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা ঘটে ২০২৩সালের ২৯সেপ্টেম্বর। অর্থাৎ, এই মামলায় একবছর ন’মাসের মধ্যে এদিন ফাঁসির সাজা হল দোষীর।

    স্ত্রী ও ১৮ মাসের শিশুকন্যাকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুনের দায়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমে দোষীর ফাঁসির নির্দেশ দেয় জলপাইগুড়ি আদালত। ২০২৩ সালের ২৭মার্চ ঘটনাটি ঘটেছিল নাগরাকাটার লুকসান চা বাগানে। এরপর গত মার্চের শেষে আরও একটি মামলায় ফাঁসির সাজা শোনায় জেলা আদালত। ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিসতুতো দাদাকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় ওই সাজার নির্দেশ দেন বিচারক। ২০২১সালের ৪মার্চ ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ি জেলার ভক্তিনগর থানার মধ্য শান্তিনগর ডাবগ্রাম নতুনব্রিজ এলাকায়। ওই ঘটনায় এলাকার এক তরুণীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় সাতসকালে রাস্তার মাঝে পিসতুতো দাদাকে কুপিয়ে খুন করে অভিযুক্ত যুবক। এপ্রিলে আরও একটি মামলায় ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে জলপাইগুড়ি আদালত। আট বছরের ছেলের সামনে কুড়ুল দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা হয় দোষীর। ২০২৩ সালের ২০ জুন ঘটনাটি ঘটে ময়নাগুড়ির চারেরবাড়ি ডাঙাপাড়ায়। সন্দেহের জেরে স্ত্রীকে খুন করে ওই যুবক। চলতি বছর জলপাইগুড়ি জেলা আদালত চতুর্থ ফাঁসির সাজা শোনাল এদিন।

    এদিকে, পকসো মামলার ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং তদন্ত প্রক্রিয়া সেরে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিস। ফেব্রুয়ারির গোড়ায় স্কুলছাত্রীকে যৌন নিগ্রহে মাত্র ৬দিনে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় জলপাইগুড়ি মহিলা থানার পুলিস। ওই মামলায় একমাসের মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণও শুরু হয়ে গিয়েছে আদালতে।
  • Link to this news (বর্তমান)