বিশ্বজুড়ে চাকরির মন্দার বাজার। এখন কাজ পাওয়াটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেই সময়েই রেকর্ড করল আইআইটি খড়্গপুর। চলতি শিক্ষাবর্ষে প্লেসমেন্ট বা চাকরির অফার পেলেন এই প্রতিষ্ঠানের ১৮০০ পড়ুয়া। ৪০৯টি সংস্থায় কাজের জন্য ডাক পেয়েছেন ওই পড়ুয়ারা। এর মধ্যে ২৫টি ‘আন্তর্জাতিক অফার’ বলে জানানো হয়েছে আইআইটি খড়্গপুরের তরফে।

আইআইটি খড়্গপুর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র ‘প্লেসমেন্ট অফার’-এই নয়, বেতনের ক্ষেত্রেও নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে  ৯ জন পড়ুয়া পেয়েছেন বছরে ১ কোটি বা তার থেকে বেশি বেতনের চাকরির অফার। আর, দেশের দেশের প্রাচীনতম প্রযুক্তিবিদ্যার এই প্রতিষ্ঠানের এক পড়ুয়া বছরে ২ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা বেতনের চাকরির অফার পেয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় এই কথা জানানো হয়েছে আইআইটি খড়্গপুর কর্তৃপক্ষের।

তবে, বছরে ২ কোটির বেশি টাকার চাকরি কাকে দেওয়া হচ্ছে সেই নাম প্রকাশ করতে চাইছেন না তাঁরা। ওই পড়ুয়ার নাম এবং যে সংস্থায় তিনি এই চাকরি করবেন সেই নাম দুটি গোপন রাখা হয়েছে। আইআইটি খড়্গপুর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ১৮০০টি অফারের মধ্যে ৪০৯টি প্রি-প্লেসমেন্ট অফার।

গর্বের বিষয়

এই রকম সুযোগ এই প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা পাওয়ার পর খুশির আবহ আইআইটি খড়্গপুর ক্যাম্পাস জুড়ে। এ দিনের বিষয়টিকে ‘গর্বের মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেন আইআইটি খড়্গপুরের ডিরেক্টর। একই কথা আইআইটি খড়্গপুরের কেরিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক রাজীব মাইতির-ও। তিনি বলেন, ‘এটা সত্যিই অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আর তা সম্ভব হয়েছে আমাদের পড়ুয়াদের প্রতিভা, দক্ষতা ও নিরলস প্রচেষ্টার ফলে।’  

আইআইটি খড়্গপুরের ডিরেক্টর বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যার এই সময়ে বিষয়টা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং ছিল। তার পরেও তাতে আমাদের পড়ুয়া ও শিক্ষকরা সফল হয়েছে। এটা আমাদের কাছে গর্বের মুহূর্ত।’

আইআইটি খড়্গপুরের তরফে জানানো হয়েছে, ৩ দিন ধরে চলা এই প্লেসমেন্ট প্রক্রিয়ায় এখনও পর্যন্ত দেশি-বিদেশি মিলিয়ে চারশোটিরও বেশি সংস্থা অংশগ্রহণ করেছে। সফ্টওয়্যার, কোর ইঞ্জিনিয়ারিং, কনসাল্টিং, ব্যাঙ্কিং-সহ বিভিন্ন সেক্টরে পড়ুয়ারা চাকরির অফার পেয়েছেন।