• আজ যে রাজা, কাল সে ফকির, কলকাতার বস্তিতে মোঘল সাম্রাজ্যের শেষ বংশধরের দিন কাটছে ছ’হাজার টাকা পেনশনে!...
    আজকাল | ১২ জুন ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৫২৬ সাল থেকে শুরু করে ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত তিন শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় উপমহাদেশের বেশিরভাগ অংশে মোঘলরা রাজত্ব করেছিল। শাসনকালে মোঘল সম্রাটরা ভারত থেকে সোনা, গয়না এবং অন্যান্য মূল্যবান পাথর এবং ধাতু লুট করে নিজেদের প্রচুর ধনী করে তুলেছিলেন। এখন যদি একজন মোঘল উত্তরাধিকারীর কথা কল্পনা করতে বলা হয়, তাহলে আপনি অবশ্যই ভাবছেন রাজকীয় জীবনযাপন করছেন তিনি। কিন্তু তা নয়। 

    ভারতের শেষ মোঘল সম্রাটের প্রপৌত্রী, যিনি একসময় বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। বর্তমানে তিনি কলকাতা উপকণ্ঠে একটি বস্তিতে থাকেন। ৬০ বছর বয়সী সুলতানা বেগম নিজেকে শেষ মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের আত্মীয় বলে দাবি করেন। তিনি হাওড়ায় তাঁর পরিবারের সঙ্গে একটি ছোট ঘরে থাকেন। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবেশীদের সঙ্গে একটি রান্নাঘর এবং কাপড় ধোয়ার জন্য রাস্তার পাশের কল ভাগ করে জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাঁকে।

    ১৯৮০-এর দশকে স্বামী প্রিন্স মির্জা বেদার বখতের মৃত্যুর পর সুলতানার জীবন নাটকীয় পরিবর্তন আসে। তারপর থেকে তিনি প্রতি মাসে ৬,০০০ টাকা পেনশনে জীবনযাপন করছেন। ছয় সন্তান লালনপালনের আর্থিক চাপের কারণে পরিবারটিকে  চরম অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সুলতানা তাঁর মেয়ে মধু বেগমের সঙ্গে থাকেন। তিনি সরকারের কাছে সাহায্যের জন্য বেশ কয়েকটি আবেদন করেছেন কিন্তু কোনও সাড়া পাননি। যেহেতু রাজকীয় বংশধরদের সুপরিচিত, তাই ৬০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা সামান্য সহায়তা পেয়েছেন।

    ব্রিটিশ শাসনের পর সুলতানা-সহ ভারতের প্রাক্তন অভিজাতদের অনেক বংশধরই আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছেন। মানবাধিকার কর্মীরা এই পরিবারগুলিকে সাহায্য করছেন। কষ্টের মুখোমুখি হলেও সুলতানা তাঁর ঐতিহ্যের প্রতি গর্ব বজায় রেখেছেন। তিনি পরিবারের প্রাপ্য সহায়তার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করে চলেছেন। সুলতানা বেশ কয়েক বছর ধরে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কাছে সাহায্য এবং উপযুক্ত পেনশনের জন্য আবেদন করছেন। কিন্তু কোনও সাড়া পাননি।

     
  • Link to this news (আজকাল)