• অনুব্রতের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলার সুপারিশ, রিভিউ অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চাইল NCW
    এই সময় | ১২ জুন ২০২৫
  • অনুব্রত-কাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ। অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হওয়ায় মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের কাছে রিভিউ অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল জাতীয় মহিলা কমিশন। পাঁচ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

    সূত্রের খবর, কেষ্টর কুমন্তব্যের অডিও ক্লিপ (সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় অনলাইন) ভাইরাল হওয়ার পরই অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল জাতীয় মহিলা কমিশন। সেই রিপোর্ট পাঠানোও হয়। কিন্তু অভিযোগ, তাতে কোনও FIR কপি ছিল না। দেওয়া হয়নি অনুব্রত মণ্ডলের মেডিক্যাল রিপোর্টও। এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল জাতীয় মহিলা কমিশন। এ দিন রিভিউ অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টে তাই একাধিক সুপারিশ করা হয়েছে।

    বোলপুরের আইসি-কে হুমকি এবং তাঁর মা ও স্ত্রীকে অশ্রাব্য গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। একটি অডিয়ো ক্লিপও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনার পরে তৃণমূল নেতাকে ২ বার সমন পাঠায় বোলপুর পুলিশ। পরে SDPO অফিসে হাজিরা দেন অনুব্রত। তবে তাঁর বিরুদ্ধে এখনও কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হয়নি।

    এই গোটা ঘটনায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে দাবি করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। পাশাপাশি কমিশন পুলিশকে অবিলম্বে অনুব্রতর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করার সুপারিশনও করেছে। অনুব্রতর বিরুদ্ধে যে সব ধারা দেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা-এর ৭৯ (কোনও মহিলার উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য বা অঙ্গভঙ্গি), ৩৫২ (অশান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত ভাবে অপমান করা) ও ৭৪ (কোনও মহিলার শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ) নম্বর ধারা যুক্ত করতে হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। উল্লেখ্য, ৭৪ নম্বর ধারা জামিন-অযোগ্য।

    তবে পুলিশ সূত্রে খবর, ৭৪ নম্বর যে ধারার কথা বলা হয়েছে, তা এখানে ঘটেনি। এই ধারায় বলপ্রয়োগের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত ফোনে হুমকি দিয়েছেন। তাই এই ধারা এ ক্ষেত্রে খাটে না।

    ডিজি-কে পাঠানো চিঠিতে কমিশন স্পষ্ট ভাষায় প্রশ্ন তুলেছে, ‘আইসি-এর ফোন বাজেয়াপ্ত করা হলেও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তের কোনও ডিজিটাল ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয়নি কেন? কোনও সাধারণ নাগরিক একই কাণ্ড ঘটালে তার এতক্ষণে জেলে ঠাঁই হতো। কিন্তু অভিযুক্ত এখনও খোলা ঘুরে বেড়াচ্ছে।’

    কমিশন মনে করিয়ে দিয়েছে, প্রভাবশালীদের জন্য আলাদা আইন হতে পারে না। চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, ‘রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা অপরাধীদের কাছ থেকে পুলিশ যদি নিজেদের পরিবারকে রক্ষা করতে না পারে, তাহলে সমাজের কাছে ভুল বার্তা যাবে।’

    অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় কোনও ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে কি না, তাও জানতে চেয়েছে কমিশন। সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছে, ডিজি-র দেওয়া আগের রিপোর্টে তার উল্লেখ নেই কেন? এ বার রিভিউ অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টে সব কিছু বিস্তারিত জানাতে হবে।

  • Link to this news (এই সময়)