হাওড়া সিটি পুলিশের জালে সোদপুর-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ফুলটুসি বেগম ওরফে শ্বেতা খান। সকালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ছেলে আরিয়ান খান। বিকেল গড়াতেই কলকাতার আলিপুরের ‘গোপন আস্তানা’ থেকে শ্বেতাকে গ্রেপ্তার করেন হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, ওই দলে ছিলেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরাও।
এ বার শ্বেতা খান ও ছেলে আরিয়ানকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারে ডোমজুড় থানার পুলিশ। হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার হাওড়া আদালতে পেশ করা হবে শ্বেতাকে।
সোদপুরে এক তরুণীকে প্রায় ৬ মাস বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল হাওড়ার বাঁকড়ার বাসিন্দা ফুলটুসি বেগম ওরফে শ্বেতা খান ও তাঁর ছেলে আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে। চাকরির টোপ দিয়ে ওই তরুণীকে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে মা-ছেলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা সামনে আসতেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন শ্বেতা ও তাঁর ছেলে।
তবে গত কয়েক দিনে শ্বেতার বিরুদ্ধে সাংঘাতিক সব অভিযোগ সামনে আসে। তাঁর প্রাক্তন স্বামী থেকে শুরু করে পাড়ার লোকজন, পরিচিতরা— বিস্ফোরক সব অভিযোগ তোলেন শ্বেতার বিরুদ্ধে। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, প্রোডাকশন হাউসের আড়ালে সফ্ট পর্ন ভিডিয়ো তৈরির অভিযোগ যেমন ওঠে।
একই ভাবে প্রভাবশালী তকমাও যুক্ত হয় শ্বেতা খানের নামের সঙ্গে। এলাকার লোকজনের দাবি, প্রকাশ্যে অপরাধ করে বেড়াতেন শ্বেতা। পাড়ার লোকজনের অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসন কেউ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তাঁর বিরুদ্ধে। উল্টে শ্বেতা মিথ্যে মামলায় এলাকার বহু ছেলেকে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন।