কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুনে যুবককে ফাঁসির সাজা জলপাইগুড়ি আদালতের
প্রতিদিন | ১১ জুন ২০২৫
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও ঘটনা ধাপাচাপা দিতে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা শোনাল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) বিশেষ পকসো আদালত। আজ, বুধবার এই রায় শুনিয়েছেন বিচারক রিন্টু সুর। রায় শুনে খুশি মৃতার পরিবার।
ঘটনাটি, ২০২৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরের। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির গদেহার কুঠি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ওই কিশোরীর বাড়ি। সাজা পাওয়া ওই যুবক ওই কিশোরীর প্রতিবেশী। সেই সূত্রে তাদের মধ্যে আগেই থেকে পরিচয় ছিল। ঘটনার দিন গদেহার কুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল। সেজন্য গ্রামের পুরুষরা দিনভর ব্যস্ত ছিল। এলাকাও ফাঁকা ছিল বলে খবর। ওই কিশোরী বাড়ির সামনে একা খেলা করছিল। অভিযোগ, জল খাওয়ানোর নাম করে ওই যুবক তাকে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ঘটনা যাতে কেউ জানতে না পারে, সেজন্য নাবালিকাকে গামছা নিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
এরপর লোপাটের জন্য ওই দেহ বস্তায় ভরা হয়েছিল। এরপর বিকেলে সকলকে এড়িয়ে সাইকেলে ওই বস্তা চাপিয়ে স্থানীয় ডুডুয়া নদীতে যায় সে। নদীতেই সেই মৃতদেহ সমেত বস্তা ভাসিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে মেয়েকে না পেয়ে ধূপগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল পরিবার। ডুডুয়া নদী থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর একাধিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়। একাধিক ব্যক্তিকেও জেরা করা হয়। পকসো ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল। জলপাইগুড়ি আদালতে শুরু হয় শুনানি। দ্রুত তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট জমা করে পুলিশ। ১৬ জনের সাক্ষ্য ও গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। তারই ভিত্তিতে ওই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এদিন ফাঁসির সাজা শোনালেন বিচারক। শুধু তাই নয়, মৃত কিশোরীর পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের জন্য ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতার পরিজনরা।