• কাটোয়ায় সোনম কাণ্ডের ছায়া! প্রেমের পথে কাঁটা মহাদেবকে পিটিয়ে, গলা টিপে ধরল মিতা, সঙ্গে প্রেমিক...
    ২৪ ঘন্টা | ১১ জুন ২০২৫
  • সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: পরকীয়ার বলি স্বামী! স্ত্রী এখন পুলিসের হেফাজতে। গ্রেফতার প্রেমিকও।  মেঘালয়ে অভিশপ্ত হানিমুনের কাণ্ডে ছায়া পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়।

    পুলিস সূত্রে খবর, ওই গৃহবধূর নাম  মিতা দাস। বাড়ি, কাটোয়ার আমূল গ্রাম। স্বামীর নাম, মহাদেব দাস। ওই দম্পতির দুই সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ, বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন মিতা। প্রায়ই স্বামীকে ছেড়ে পালিয়েও যেতেন অন্য় পুরুষের সঙ্গে। প্রতিবারই অবশ্য তাঁকে ফিরিয়ে আনতেন পরিবারের লোকেরা। এভাবেই চলছিল।

    বছর দেড়েক আগে ফেসবুকের মাধ্য়মে অভিজিত্‍ বাগদী নামে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় মিতার। কাটোয়ারই নানুন গ্রামের বাসিন্দা অভিজিত্‍। অল্পদিনেই দু'জনের সম্পর্ক গাঢ় হয়। এতটাই যে, বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তাঁরা। কিন্তু এই সম্পর্কের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান মিতার স্বামী মহাদেব। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় তুমুল অশান্তি। শেষে মহাদেহকে খুনের ছক কষে মিতা ও অভিজিত্‍।

    দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা থাকতেন মহাদেব। অভিযোগ, জামাইষষ্ঠী দিনে বাপের বাড়ি যাওয়ার অজুহাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে অভিজিতের সঙ্গে দেখা করেন মিতা। ওই গৃহবধূকে কার্বলিক অ্যাসিড কিনে দেন তাঁর প্রেমিক। দুই সন্তান তখন ঘুমিয়ে পড়েছে। রাতে মদের সঙ্গে সেই কার্বলিক অ্য়াসিড মিশিয়ে স্বামীকে খাওয়ান মিতা। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়লে, প্রথমে বাঁশ দিয়ে মেরে ও পরে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়। 

    এদিকে সকালে পরিবারের লোককে মিতা বলেন, স্ট্রোকে মারা গিয়েছে মহাদেব। কিন্তু দেহে আঘাতের চিহ্ন ও রক্ত দেখে সন্দেহ হয় বাড়ির লোকের। কাটোয়া থানায় খবর দেন তাঁরা। প্রাথমিকভাবে মিতাকে আটক করা পুলিস। এরপর জেরায় খুনের কথা স্বীকার করলে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ঘটনার ২ দিন পর ধরা পড়ে অভিজিত্‍। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)