• বনগাঁর কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি বাংলাদেশি? TMC-র হয়ে ভোটেও লড়েছেন
    আজ তক | ১১ জুন ২০২৫
  • ফের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বিতর্ক বাংলায়। কাকদ্বীপের নিউটন তরজার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার কলেজের পরিচালন সমিতিতে বাংলাদেশির উপস্থিতি বনগাঁয়। উত্তর ২৪ পরগনার নহাটা যোগেন্দ্র নাথ কলেজের এই ঘটনায় ইমিতমধ্যে  শোরগোল পড়েছে। চর্চায় আলোরানি সরকার।

    উল্লেখ্য গত বিধানসভা ভোটে বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন আলোরানি সরকার। ভোটে অবশ্য তিনি হেরে গিয়েছিলেন। জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার। সেই আলোরানিকে নিয়েই নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।  বাংলাদেশের এই নাগরিক ভারতের কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি।  নামের পাশে লেখা রয়েছে বিধায়ক। এমনই অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছে শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষই। 

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সাল থেকে  নহাটা যোগেন্দ্র নাথ কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি আলোরানি। পাশাপাশি বিধানসভা ভোটে হেরে যাওয়া তৃণমূল প্রার্থীকে সরকারি নির্দেশিকায় মিথ্যা এমএলএ পরিচয় দিয়ে কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী থেকে শাসক ও বিরোধী উভয়পক্ষ। এলাকার বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারও প্রশ্ন তুলেছেন।  

    উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নহাটা যোগেন্দ্র নাথ মন্ডল স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের এমন ঘটনায় শোরগোল পড়েছে ৷  অভিযোগ ২০২১ সালে শিক্ষা দফতরের  পক্ষ থেকে বিধানসভা ভোটের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকারকে এই কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি করা হয়। শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে যার মেয়াদ আগামী ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। যে নির্দেশিকায় আলোরানি সরকারকে বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পরিচয় দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কলেজের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্ব।  

    পাশাপাশি বনগা দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার দাবি করেন আলোরানি সরকার বাংলাদেশি। এই মর্মে হাইকোর্টে তিনি মামলা করেছিলেন। যেখানে প্রমাণ হয় আলোরানি সরকারের বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় নাম আছে। কীভাবে একজন বাংলাদেশের নাগরিক এদেশের কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি হতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিধায়ক স্বপন মজুমদার।

     এ ব্যাপারে কলেজের প্রিন্সিপাল মিডিয়ার সামনে কিছু বলতে না চাইলেও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে আলোরানি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অসহযোগিতার অভিযোগ তোলা হয়েছে। আলোরানি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলার অজুহাতে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কিছু বলতে চাননি। এ ব্যাপারে বনগাঁ জেলার তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানান, ঘটনা শুনেছেন তিনি৷ দলকে এ বিষয়ে  জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে আগামীতে আবারও জানাবেন, দল অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। এদিকে কলেজের একাধিক ছাত্রদের বক্তব্য আলো রানী নির্বাচনে হেরেছেন কিন্তু নামের পাশে MLA লেখা ৷ পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশি নাগরিক হয়েও, কলেজের সভাপতি হওয়ার ঘটনায় কলেজের ঐতিহ্য নষ্ট হচ্ছে ।

    রিপোর্টারঃ দীপক দেবনাথ
     
  • Link to this news (আজ তক)