বিষ্ণুপুরে অষ্টমঙ্গলার আগেই প্রেমিকের হাত ধরে ছুট নববধূর
প্রতিদিন | ১১ জুন ২০২৫
অসিত রজক, বিষ্ণুপুর: এক পলকের একটু দেখাতেই সিদ্ধান্ত। আর সপ্তাহ পেরোতে না পেরোতেই যুবক হাড় হাড়ে টের পেলেন ‘হঠাৎ বিয়ের’ সিদ্ধান্ত কতবড় ভুল ছিল। ‘সবই কপাল’ বলছেন, সদ্য বউ পালানো যুবক। মেয়ে দেখতে গিয়ে পছন্দ হয়ে যাওয়ায় সেখানেই বিয়ের আসর বসিয়ে ফেলেছিলেন বিষ্ণুপুর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের এলাকার এক যুবক। কিন্তু তখনও জানতেন না যে ওই মেয়ের নাড়া বাঁধা রয়েছে অন্য এক ছেলের সঙ্গে! আর তাই মঙ্গলবার বিয়ের ৬ দিন পার হতে না হতেই নতুন বরকে ঘরে শিকল বন্ধ করে পুরানো প্রেমিকের সঙ্গে চম্পট দিলেন নববধূ।
বৃহস্পতিবার নবদম্পতি যুগলের অষ্টমঙ্গলায় বাঁকুড়ার ঝাঁটিপাহাড়ি এলাকায় বাপেরবাড়ি যাওয়ার কথা। কিন্তু ওই বধূ ও তাঁর প্রেমিকের করা ছকে সব হিসেব ওলটপালট। ঘটনাটি ঘটেছে, বিষ্ণুপুর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। মঙ্গলবার রাত তখন অনেক। নতুন বউকে নিয়ে ঘরে খিল দিয়েছিল ছেলে। রাত পোহালেই বুধবার অষ্টমঙ্গলার অনুষ্ঠান। তা নিয়েই আলোচনায় আর হাসিঠাট্টায় মশগুল বাড়ির লোকজন। মধ্যরাতের পর এরপর সবাই ঘুমাতে চলে যান। তারই অপেক্ষায় ছিলেন নববধূ। ঘুমন্ত স্বামীকে রেখে ঘর থেকে বেরিয়ে দরজায় শিকল তুলে দেন। বাইরে অপেক্ষা করছিলেন তাঁর প্রেমিক। বিয়ের আংটি, বরের দেওয়া নতুন অ্যানড্রয়েড ফোন আর নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে চম্পট।
এদিকে কাকভোরে স্বামী দেখেন স্ত্রী নেই পাশে। দরজা খুলে বাইরে বেরোতেও পারছেন না। অনেক হাঁকডাকের পর বাড়ির লোকজন দরজার শিকল নামিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করেন। এরপর ছেলের বাড়িতে থাকা নতুন বউয়ের ঠাকুমা ও বোনের মুখ থেকে পুরনো সম্পর্কের কথা শুনে খবর দেওয়া হয় মেয়ের বাড়িতে। এরপর দুই বাড়ির পক্ষ থেকেই ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। কাউন্সিলর বলেন, “আমার ওয়ার্ডের ওই সদ্য বিবাহিত যুবকের পরিবারের লোকেরা এসেছিলেন বধূ রাতে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। বিষয়টি যেহেতু আইনি ব্যাপার তাই আমি তাঁদের থানায় যেতে বলেছি।” ঘটনা নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে এলাকায়।