সংবাদদাতা, চাঁচল: মালদহের চাঁচল সদরের বিধানসরণি থেকে শান্তিমোড় হাটখোলা পর্যন্ত জাতীয় সড়কের ধারে থাকা নয়ানজুলিটি আবর্জনায় ভরতে শুরু করেছে। নয়ানজুলির কোথাও বস্তা ভর্তি আবর্জনা ফেলা হচ্ছে,আবার কোথাও খোলামেলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে পচা দুর্গন্ধযুক্ত জঞ্জাল। ফলে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্গন্ধের জেরে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন পথচারীরা। নয়ানজুলি আবর্জনামুক্ত করার দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই নয়ানজুলির কাছাকাছি একাধিক সরকারি বেসরকারি অফিস, বসতবাড়ি সহ একাধিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
অভিযোগ, রাস্তার ধারে নয়ানজুলিতে যেভাবে ইচ্ছেমতো আবর্জনা ফেলা হচ্ছে তাতে শুধু পরিবেশ দূষণ নয়, দৃশ্য দূষণও হচ্ছে। দুর্গন্ধে গরমের মধ্যে এলাকায় একপ্রকার অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা আবু তৌহিদ মোহাম্মদ নূর বলেন, ঘনবসতি এই এলাকায় এভাবে আবর্জনা ফেলা একেবারেই ঠিক নয়। নির্দিষ্ট জায়গায় আবর্জনা ফেলার ব্যবস্থা করা উচিত। এক পথচারী সহদেব দাস বলেন, নয়ানজুলিতে যেভাবে আবর্জনা পড়ে থাকছে তাতে দুর্গন্ধে রাস্তায় চলাচল করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীদের একাংশ এমন আবর্জনা ফেলে থাকতে পারেন। পরিবেশ দূষণ রোধে এধরনের কাজ বন্ধ করা উচিত।
এপ্রসঙ্গে চাঁচল ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, চাঁচলে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প চালু রয়েছে। নিয়মিত আবর্জনা সংগ্রহের পরিষেবা দেওয়া হয়। মানুষজনকে আরও সচেতন করা হবে, যাতে তারা যত্রতত্র আবর্জনা না ফেলে। চাঁচল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষ বলেন, আমরা চাঁচলবাসী দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ার চেষ্টা করছি। এর আগে এনিয়ে রাস্তায় নেমে প্রচার চালানো হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে সদরের মধ্যে ইচ্ছেমতো আবর্জনা না ফেলেন সে বিষয়ে সচেতন করা হবে।