সংবাদদাতা, বালুরঘাট: কুমারগঞ্জ থেকেই সুদূর গুজরাতের বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রতারণা তিন যুবকের। ঘরে বসে সাইবার জালিয়াতি করে পুলিসের জালে কুমারগঞ্জের ওই যুবকরা। দক্ষিণ দিনাজপুর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস ধৃতদের কাছ থেকে ৩৪ টি এটিএম কার্ড, আটটি সিমকার্ড, পাঁচটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, একটি সাধারণ ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এবং কিছু টাকার প্রলোভন দিয়ে ডকুমেন্ট নিয়ে সিম কার্ড নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট খুলত ধৃতরা। সেগুলিতেই জমা করা হতো প্রতারণার টাকা। দেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতারণা চক্রের সঙ্গে এই যুবকরা যুক্ত বলে খবর। ধৃতদের মধ্যে দু’জনের বিরুদ্ধে গুজরাতের একটি থানায় আর্থিক প্রতারণার মামলাও চলছে। তাঁরা কয়েকবছর এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। আত্মগোপন করে কারবার চালিয়ে যাচ্ছিলেন বছরের পর বছর।
মঙ্গলবার সাইবার ক্রাইম থানার আইসি সৌরভ ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ডিএসপি (সদর) বিক্রম প্রসাদ। তিনি বলেন, দেশের নানা প্রান্তে ঘটে যাওয়া সাইবার প্রতারণা সঙ্গে যুক্ত ধৃতরা। তাঁদের সঙ্গে আর কারা যুক্ত, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা হলেন কুমারগঞ্জ থানার কালনা এলাকার মমিনুর মণ্ডল, বিশ্বনাথপুরের জুয়েল সরকার ও দত্তমাটির বুলবুল হোসেন মণ্ডল। বুলবুল ও মমিনুরের নামে গুজরাতের একটি থানায় লিখিত অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা ফোনের মাধ্যমে গুজরাতের একজনের সঙ্গে প্রায় ৫০ হাজার টাকার প্রতারণা করেন। সেই অর্থ নিজেদের কাছে থাকা অন্যের অ্যাকাউন্টগুলিতে ট্রান্সফার করেন। একইভাবে তাঁরা দেশের নানা জায়গায় সাইবার প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকার বেশি লেনদেন করেছেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরাম এবং কুমারগঞ্জে এই ধরনের প্রতারণা চক্র বেড়েছে। আগেও একইভাবে আর্থিক প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত এক চক্রের সদস্যদের পতিরাম ও কুমারগঞ্জ থানার বিভিন্ন জায়গায় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এবার পুলিস ওই এলাকায় বাড়তি নজর দিচ্ছে।