রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকার থেকে এক প্রৌঢ়া চিকিৎসকের প্রায় ২০ লক্ষ টাকার গয়না উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল। রবিবার শ্যামপুকুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই চিকিৎসক। তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও সোমবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী ৬১ বছরের ওই চিকিৎসক শ্যামপুকুর থানার কৃষ্ণরাম বসু স্ট্রিটে থাকেন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শ্যামবাজার শাখায় তাঁর এবং বৃদ্ধা মায়ের নামে লকার রয়েছে। সেখানে তাঁদের দু’জনের সোনা ও রুপোর গয়না রাখা ছিল। ওই চিকিৎসক জানান, লকারে রাখাগয়না সুরক্ষিত আছে কিনা দেখতে তিনি গত ৫ জুন ব্যাঙ্কে যান। সে দিন লকারে গিয়ে গয়না দেখে প্রাথমিক ভাবে তাঁর সন্দেহ হয়েছিল। যদিও তিনি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে তখনই কিছু জানাননি।
পরদিন, অর্থাৎ ৬ জুন ওই চিকিৎসক আবার ব্যাঙ্কে যান। সে দিন লকারে থাকা সোনার গয়না মিলিয়ে দেখে তিনি বুঝতে পারেন, প্রায় ২০০ গ্রাম গয়না নেই। অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, লকারের ভিতরে একটি স্টিলের বাক্সে গয়নাগুলি রাখা ছিল। কিন্তু ৬ তারিখ তিনি লকার খুলে দেখেন, বাক্স ফাঁকা। ওই চিকিৎসকের আরও অভিযোগ, তিনি ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করলেও কর্তৃপক্ষ সেই অভিযোগ নিতে চাননি। এর পরেই ওই চিকিৎসক পুলিশের দ্বারস্থ হন। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ব্যাঙ্ককর্মীদের কেউ যুক্ত থাকতে পারেন বলে তাঁর সন্দেহ।
বছরখানেক আগে পার্ক স্ট্রিটের একটি ব্যাঙ্কের লকার থেকে কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সোনা এবং হিরের গয়না উধাও হওয়ার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। তদন্তে নেমে ওই ব্যাঙ্কেরই এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরবর্তী কালে গ্রেফতার করা হয় ওই কর্মীর দাদাকেও।