• ফরাক্কার ইলিশ কিনে দেওয়ার নামে ব্যবসায়ীকে খুন! গ্রেফতার ঝাড়খণ্ডের পুলিশ কনস্টেবল
    আনন্দবাজার | ১০ জুন ২০২৫
  • এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে মুর্শিদাবাদের সুতি থানার পুলিশ ঝাড়খণ্ডের পাকুড় জেলার আমরাপাড়া থানায় কর্তব্যরত এক কনস্টেবল-সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত ওই পুলিশ কর্মীর নাম বিপিনকুমার পাঠক। তাঁর বাড়ি পাকুড় জেলায়। এই খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আবু সুফিয়ান নামে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জের বাসিন্দা। ধৃতদের সোমবার আদালতে হাজির করানো হয়েছে।

    জঙ্গিপুর পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৫ মে সুতি থানার মধুপুর সংলগ্ন সাজুর মোড়ের কাছে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বিভিন্ন থানায় মৃতের ছবি পাঠায়। এর পরেই পুলিশ জানতে পারে, মৃতের নাম আনন্দ রাজ। তাঁর বয়স ৩২ বছর। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ে থাকতেন। মৃত ব্যক্তি মুর্শিদাবাদ এবং মালদহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাথর সরবরাহের ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, আনন্দের সঙ্গে এই ব্যবসায় ঝাড়খণ্ড পুলিশের কনস্টেবল বিপিনও যুক্ত।

    আনন্দ দেওঘরের বাসিন্দা হলেও গত কয়েক বছর ধরে ব্যবসার সুবিধার জন্য পাকুড় পুলিশ লাইনের উল্টোদিকে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। সেই সূত্রেই আনন্দ এবং বিপিনের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি ব্যবসার কারণে তাঁদের মধ্যে মতানৈক্য তৈরি হয়েছিল। আনন্দ কয়েক জনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে শোধ দেননি বলেও অভিযোগ।

    পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৪ মে সন্ধ্যায় আনন্দের বাড়িতে বন্ধুদের নিয়ে একটি পার্টি হয়। পার্টি শেষ হওয়ার পর আনন্দকে নিয়ে একটি গাড়িতে চেপে বিপিন মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার উদ্দেশে ইলিশ মাছ কেনার জন্য বার হন। ফরাক্কা ঢোকার আগে ঝাড়খণ্ড পুলিশের ওই কনস্টেবল শমসেরগঞ্জ থানার ডাকবাংলো এলাকা থেকে তাঁর ম্যানেজার আবু সুফিয়ানকে নিজের গাড়িতে তুলে নেন। এর পর তিন জনে মিলে ফরাক্কা থেকে মাছ কিনে ঝাড়খণ্ডের দিকে ফিরে যাচ্ছিলেন। তখন আনন্দকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আনন্দকে খুন করে দেহটি সুতি থানা এলাকায় ফেলে ঝাড়খণ্ডে পালিয়ে যান অভিযুক্তেরা। এমনটাই জানিয়েছে জঙ্গিপুর পুলিশ।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)