উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের তরুণীকে নিগ্রহ এবং পর্নকাণ্ডে অভিযুক্ত হাওড়ার শ্বেতা খানের ফ্ল্যাটে তল্লাশির অনুমতি মিলল। গত শুক্রবার থানায় অভিযোগ দায়েরের পর থেকে বেপাত্তা শ্বেতা ও তাঁর পুত্র আরিয়ান খান। মঙ্গলবারই বাঁকড়ার ফকিরপাড়ায় শ্বেতাদের ফ্ল্যাটের পিছন দিক থেকে গোছা চুল উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযোগ, পর্ন ছবিতে কাজ করানোর জন্য সোদপুরের তরুণীকে যখন অত্যাচার করেন মা-ছেলে, ওই সময় মাথার চুল কেটে নেওয়া হয়েছিল। এমতাবস্থায় তদন্তের স্বার্থে ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো জরুরি। সেই মর্মে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তকারী আধিকারিকেরা আদালতে আবেদন করেছিলেন আগেই। মঙ্গলবার হাওড়া আদালতের ভারপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট ফ্ল্যাটে তল্লাশির অনুমতি দিয়েছেন। এখন শ্বেতাদের ফ্ল্যাটে ঢুকে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে চায় পুলিশ। সেখানে কাদের আসা-যাওয়া ছিল, তার খোঁজ পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
বস্তুত, ফকিরপাড়ায় এই ফ্ল্যাটেই সোদপুরের তরুণীকে আটকে রেখে শারীরিক অত্যাচার ও যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারও কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় কি না, দেখা হবে। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “সোমবার পুলিশের পক্ষ থেকে হাওড়া আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। আমাদের ধারণা, ওই তালাবন্ধ ঘরে থাকা সিসি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক থেকে পলাতক অভিযুক্তদের সম্পর্কে সূত্র মিলতে পারে। ওই ফ্ল্যাটে তরুণীকে করা অত্যাচারের কোনও প্রমাণ মেলে কিনা, তা-ও দেখা হবে।”
পুলিশ জানায়, ওই ফ্ল্যাটের চারপাশে ও রাস্তায় ৪-৫টি ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন মালকিন তথা তরুণীকে অত্যাচারে মূল অভিযুক্ত শ্বেতা। তদন্তকারীরা ওই সব ক্যামেরার ফুটেজ থেকে জানার চেষ্টা করবেন, ওই ফ্ল্যাটের মালকিন, তাঁর ছেলে ও সঙ্গে থাকা একটি মেয়ে কখন, কী ভাবে পালিয়েছেন।