পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় চিপ্স-কাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার হলেন অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিত। রবিবার রাতে তাঁকে কোলাঘাটের জিদায়া থেকে গ্রেফতার করে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। অভিযুক্ত সিভিকের গ্রেফতারির খবর পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত কিশোর কৃষ্ণেন্দুর মা সুমিত্রা দাস। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ওই সিভিক কর্মী গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের উপর ভরসা কমতে শুরু করেছিল। এখন ও গ্রেফতার হয়েছে। আমি চাই প্রশাসন ওকে কঠোর শাস্তি দিক।’’
সপ্তাহখানেক আগে পাঁশকুড়ার কেশাপাট পঞ্চায়েতের গোঁসাইবেড় গ্রামের বাসিন্দা শুভঙ্করের দোকানে গিয়েছিল স্কুলপড়ুয়া কৃষ্ণেন্দু দাস। দোকানের সামনে পড়ে থাকা চিপ্সের প্যাকেট সে নিয়েছিল বলে দাবি। অভিযোগ, কৃষ্ণেন্দুর পিছু ধাওয়া করে তাকে শুভঙ্কর আটকান এবং কান ধরে ওঠবস করান। তাকে পুলিশেরও ভয় দেখানো হয় বলে দাবি। পরে কৃষ্ণেন্দুর মা-ও ছেলেকে মারেন। ঘটনার জেরে কৃষ্ণেন্দু কীটনাশক পান করে আত্মঘাতী হয় বলে দাবি। এই মর্মে একটি সুইসাইড নোটও মিলেছিল।
গত ২৫ মে কিশোরের মা সুমিত্রা দাস পাঁশকুড়া থানায় শুভঙ্কর-সহ তার পরিবারের চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে রুজু হয় মামলা। পরে অভিযুক্ত সিভিক তথা দোকানদারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। কিন্তু অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর বেশ কয়েক দিন কেটে গেলেও কেন ওই সিভিক গ্রেফতার হচ্ছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল।
পাঁশকুড়া থানার পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ শুভঙ্করের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন পাওয়া যায় কোলাঘাট থানার দেউলিয়ার কাছে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায়। তা ধরেই সেখানে গিয়ে শুভঙ্করকে পুলিশ জিয়াদা বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে সোমবার তমলুক জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।