ভোটার তালিকায় বাংলাদেশি নাগরিকের নাম থাকার অভিযোগে জলঘোলা হচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কাছে নিউটন দাস নামে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে বিশদ রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত জানান, সব তথ্য কমিশনে পাঠানো হবে। সূত্রের খবর, মহকুমাশাসকের দফতর থেকে ইতিমধ্যে তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে।
দিন কয়েক আগে, ভোটার-তালিকায় দুর্নীতির অভিযোগে কাকদ্বীপ মহকুমার এক সরকারি আধিকারিককে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করেছিল নির্বাচন কমিশন। মহকুমাশাসক ভোটার কার্ড সংক্রান্ত গরমিলে তিন কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছিলেন। এরই মধ্যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে নিউটনকে নিয়ে।
অভিযোগ, বাংলাদেশের কোটা-বিরোধী আন্দোলনে দেখা গিয়েছিল নিউটনকে। এমন এক জনের নাম কী ভাবে কাকদ্বীপের ভোটার তালিকায় উঠল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। স্থানীয় সূত্রের খবর, তৃণমূলের মিটিং-মিছিলেও দেখা যেত তাঁকে। দিন কয়েক আগে এক ভিডিয়ো-বার্তায় নিউটন দাবি করেছিলেন, তিনি কাকদ্বীপের বাসিন্দা, স্থানীয় ভোটার। তাঁকে ভোটার কার্ড করতে সহযোগিতা করেছিলেন বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা।
জানা যায়, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার পথে নিউটনকে ধরেছিল পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় ভারত ও বাংলাদেশের পরিচয়পত্র। নিউটনের দাদা তপন এর আগে জানিয়েছিলেন, ভাই চার বছর ধরে কাকদ্বীপে নেই। এ দেশে পড়তে এসেছিলেন, ফিরেও গিয়েছেন।
বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি অশোক পুরকাইতের দাবি, “এই ভোটারদের সাহায্যেই জিতেছেন তৃণমূল বিধায়ক। দেশের নিরাপত্তা নিয়ে ছেলেখেলা হচ্ছে।” মন্টুরাম বলেন, “আমি নিউটন বলে কাউকে চিনি না।’’