• কাঁথির দুই কৃষি সমবায়ে ভোটের আগেই তৃণমূলের জয়, মনোনয়নে নেই কোনও বিরোধী মুখ
    এই সময় | ১১ জুন ২০২৫
  • পূর্ব মেদিনীপুরে একের পর এক সমবায়ে উড়ছে সবুজ আবির। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে জেলার বিভিন্ন সমবায়ে তৃণমূলের জয়জয়কার। কাঁথির দু’টি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেন তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ও এগরার কৃষি সমবায়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বোর্ড গঠনের পথে তৃণমূল।

    পটাশপুর-১ ব্লকের বড়হাট গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত বড়হাট সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালকমণ্ডলীর মেয়াদ বছর দেড়েক আগে শেষ হয়। তার আগে এই বোর্ড তৃণমূলের দখলেই ছিল।

    বড়হাট সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে মোট আসন সংখ্যা ৯। মাসখানেক আগে এই সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন ঘোষণা হয়। ২৫ জুন নির্বাচনের দিন স্থির হয়। ভোট ঘোষণার পরই মাঠে নেমে পড়ে তৃণমূল। সোমবার ছিল মনোনয়ন তোলার দিন এবং মঙ্গলবার ছিল তা জমা দেওয়ার শেষ দিন।

    দেখা যায়, তৃণমূলের ৯ জন প্রার্থী ছাড়া কেউই মনোনয়ন পত্র জমা দেয়নি। এমন পরিস্থিতিতে ওই সমবায়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় নিশ্চিত হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীদের। ফলে সমবায়ে বোর্ড গঠনের পথে শাসক দল। এই খবর সামনে আসতেই কার্যত উৎসবের আমেজ তৃণমূল শিবিরে।

    পটাশপুর-১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিনয় পট্টনায়ক বলেন, ‘এই সমবায় তৃণমূলের দখলে ছিল। মানুষ আমাদের কাজে সন্তুষ্ট। মানুষ তাই আবারও তৃণমূলকে এই সমবায়ে দেখতে চেয়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমাদের জয় সুনিশ্চিত হয়েছে।’

    অন্যদিকে এগরা-১ ব্লকের পুরুন্দা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন রয়েছে আগামী ২১ জুলাই। ওই সমবায়ের মোট আসন সংখ্যা ৫৭টি। সোমবার ছিল মনোনয়ন পরীক্ষা এবং মঙ্গলবার ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। সেখানে ৫৭টি আসনের মধ্যে ৪৩টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। ফলে এখানেও বোর্ড গঠনের পথে তৃণমূল। আগামী ২১ জুন এখানে নির্বাচনের দিন ধার্য হয়েছে। তবে তার আগেই এই ফলাফল।

    ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র গ্রামপঞ্চায়েতের এই সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয় ২০২৩ সালে। বোর্ড ছিল তৃণমূলেরই। মঙ্গলবার জয়ের খবর আসতেই প্রার্থীদের অভিনন্দন জানান জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা এলাকার বিধায়ক তরুণ মাইতি। তিনি জানান, মানুষ তৃণমূলের উপর ভরসা রাখে, এই ফল তারই প্রমাণ। তবে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সোমনাথ রায়ের দাবি, সমবায়গুলিতে শাসকদল তাঁদের পছন্দের লোকেদের সদস্য করে। প্রশাসনের ভূমিকাও সকলে জানে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সমবায় নিয়ে ভাবিত নই। ২৬-এর প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

  • Link to this news (এই সময়)