লিফেটে ঢোকার পরই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় লিফটে আটকে রইলেন সাতজন। এর পর বিদ্যুৎ সংযোগ এলে তাঁদের লিফট থেকে বের করে আনা হয়। জানা গিয়েছে, লিফটের ভেতরে হাওয়া চলাচলের ছোট জায়গা ছিল। যার জন্য় তাঁরা প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় নিউ কোচবিহার রেল স্টেশনের ঘটনা। তাঁদের উদ্ধার করতে কেন কোনও মেডিক্যাল টিম কিংবা উদ্ধারকারী দল পাঠানো হলো না সেই নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ওই রেল স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্মের একটি লিফট হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময়ে লিফটের ভিতর ছিলেন সাত জন। তাঁদের চার জন যাত্রী এবং তিনজন রেলকর্মী। দীর্ঘক্ষণ ধরে লিফটে আটকে থাকার পর রাত নটা নাগাদ বিদ্যুৎ সংযোগ আসে। তার পরে লিফটের ভেতরে আটকে থাকা সকলকে বের করে আনা হয়।
সূত্রের খবর, দীর্ঘক্ষণ ধরে লিফট আটকে থাকার জন্য ভেতরে একেবারে দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যদিও এই ঘটনায় সাতজনই সুস্থ রয়েছেন। লিফটে আটকে থাকা যাত্রীদের মধ্যে আব্দুল সালাম আনসারি এবং আলামিন হোসেন জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি দিনহাটায়। দিল্লিতে কাজে যাবেন বলে ওই দিন তাঁরা ট্রেন ধরতে গিয়েছিলেন।
আব্দুল সালাম আনসারি বলেন, ‘১ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে সবে লিফটে উঠেছি। হঠাৎই লিফটাবন্ধ হয়ে যায়। তবে ভাগ্য ভালো মাঝপথে বন্ধ হয়নি। কিন্তু এর পর লিফট আর ওপরে ওঠেনি। দরজাও খোলেনি। ভেতরে একেবারে দম বন্ধ হয়ে আসছিল। লিফটের মধ্যে তিনজন রেলের লোকো পাইলট ছিলেন। তাঁরাই আমাদের সাহস জোগাচ্ছিলেন। এক সময়ে মনে হচ্ছিল, আজকে আর বাঁচতে পারব না। লিফটের ভিতরে থাকা ইমারজেন্সি নম্বরে রেল কর্মীরা ফোন করেছিলেন। কিন্তু ফোন ব্যস্ত ছিল।’