• দিঘার জগন্নাথের প্রসাদ পৌঁছে যাবে বাড়ি বাড়ি
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১০ জুন ২০২৫
  • গত এপ্রিল মাসে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এ বার রথযাত্রার আগেই রাজ্যের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদ গজা ও পেঁড়া। এ বার ২৭ জুন রথযাত্রা। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মেনেই সোমবার দিঘার জগন্নাথ মন্দির থেকে জেলায় জেলায় পাঠানো হল ৩০০ কেজি মহাপ্রসাদ। জেলাশাসকদের মাধ্যমে বিডিওদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে এই মহাপ্রসাদ। তারপর এক একটি ব্লকের মিষ্টির দোকানে ওই প্রসাদ থেকে মিষ্টি তৈরি হবে এবং পৌঁছে দেওয়া হবে সব বাড়িতে।

    কলকাতার ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস দিঘার জগন্নাথ মন্দির ট্রাস্টেরও একজন সদস্য। তিনি জানিয়েছেন, কলকাতার বিখ্যাত মিষ্টির দোকান থেকে এয়ার কান্ডিশন কন্টেনারে করে ৩০০ কেজি খোয়া নিয়ে আসা হয়েছে। প্রথমে তা নিবেদন করা হয়েছে জগন্নাথ দেবের কাছে। পরে সেই প্রসাদ পাঠানো হয়েছে প্রতিটি জেলায়।

    জানা গিয়েছে, এক একটি বাক্সে ১০ কেজি করে খোয়া রয়েছে। এগুলির সঙ্গে মিষ্টির নানান উপকরণ যোগ করে প্রতিটি জেলায় সরকার নির্ধারিত মিষ্টির দোকানে তৈরি হবে গজা ও পেঁড়া। এই প্রসাদ বিতরণ শুরু হবে আগামী ১৭ জুন থেকে। এই প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে বিশেষ প্যাকেটও। তাতে থাকবে মন্দিরের ছবি। এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এ প্রসঙ্গে বলেন, জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদ গ্রহণ করার ইচ্ছা বহু মানুষের থাকলেও অনেক সময় তা তাঁদের সাধ্যে কুলোয় না। সে কথা ভেবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তা পৌঁছে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলার প্রতিটি ঘরে যাতে এই প্রসাদ পৌঁছয় সেটাই সরকারের উদ্দেশ্য।

    খাদ্য দপ্তরের প্রকল্প ‘দুয়ারে রেশন’–এর মাধ্যমেই এই প্রসাদের বাক্সগুলি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে। আর যাঁরা এই রেশন ব্যবস্থার মধ্যে নেই আলাদা করে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিডিওদের ব্যবস্থা করে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)