নাব্যতা বাড়াতে তিস্তার পাশাপাশি খনন হবে করলা নদীও, অনুমোদন রাজ্যের
প্রতিদিন | ১০ জুন ২০২৫
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: তিস্তা নদীর পাশাপাশি করলা নদী খননের পরিকল্পনা অনুমোদন করল রাজ্য সরকার। সেচ দপ্তরের তত্ত্বাবধানে খননের কাজ করবে রাজ্য সরকারের এমডিটিসিএল (মিনারেল ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেড)। পাশাপাশি ধরধরা নদী ও গদাধর খাল খননের প্রস্তাবও জমা পড়েছে সেচ দপ্তরে। যা নিয়ে ভাবনাচিন্তাও শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
নাব্যতা বাড়াতে উত্তরবঙ্গের একাধিক নদীতে ড্রেজিংয়ের অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য। যার মধ্যে রয়েছে উত্তরের সবথেকে বড় নদী তিস্তা। সিকিম পাহাড় থেকে নেমে আসা এই নদীতে পলি ও বালি জমে নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় একাধিক জায়গায় গতিপথ পরিবর্তন করেছে নদী। তাতে বন্যার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নদী বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সমীক্ষার পর নাব্যতা বাড়াতে নদী খননের পরিকল্পনা রিপোর্ট জমা করে সেচ দপ্তর। যা অনুমোদন পাওয়ায় বর্ষার পরপরই তিস্তা নদীতে শুরু হতে চলছে খননের কাজ। পাশাপাশি বৈকুন্ঠপুর জঙ্গল থেকে বেরিয়ে জলপাইগুড়ি শহর ঘুরে তিস্তা নদীতে গিয়ে মেশা করলা নদী খননের পরিকল্পনা অনুমোদন পেয়েছে। শহর সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এলাকা থেকে শুরু হয়ে তিস্তা নদী পর্যন্ত পনেরো কিলোমিটার নদী খনন করে নাব্যতা বাড়ানো হবে। জলপাইগুড়ি শহরের লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত করলা নদী। গত কয়েক বছর ধরে নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় জল বহন ক্ষমতা কমে গিয়েছিল করলার।
সেচ দপ্তরের উত্তর-পূর্ব বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক জানান, করলা নদীর বুকে জমে থাকা এক থেকে দেড় মিটার পলি তুলে ফেলা হবে। এতে নদীর নাব্যতা বাড়ায় জনবহন ক্ষমতা বাড়বে। নদী আবার স্বাভাবিক গতিতে বইবে। তিস্তা, করলার পাশাপাশি জলপাইগুড়ি শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা ধরধরা নদী এবং গদাধর খাল খননের প্রস্তাব ইতিমধ্যেই সেচমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছে জলপাইগুড়ি পুরসভা। চিফ ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক জানান, ধরধরা এবং গদাধর খাল নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে। এর আগে গদাধর খাল সংস্কার করেছে সেচ দপ্তর। ধরধরা নদী খননের পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।