জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কয়েকদিন ধরেই স্মার্ট মিটার (Smart Meter) নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। প্রায় প্রতিদিনই জায়গায় জায়গায় বিদ্যুৎ দফতরে গ্রাহকদের বিক্ষোভ, প্রতিবাদ চলছে। বিদ্যুৎ গ্রাহকদের একাংশের দাবি, আগাম টাকা জমা দিয়ে বিদ্যুৎ নেওয়ার ফলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারা যাবে এই স্মার্ট মিটারে। বাংলার বেশ কিছু বাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বসেছে স্মার্ট মিটার। স্মার্ট মিটার বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ও তার প্রভাব নিয়েই সমস্যা।
রাজ্য যদিও জানিয়েছে, তা প্রাথমিক টেস্টিংয়ের কাজের জন্য বসানো হয়েছে। অভিযোগ, বাড়িতে একই বিদ্যুৎচালিত সামগ্রী চালিয়ে যেখানে আগে একরকম বিল আসত। এখন সেই একই বিদ্যুৎ চালিত সামগ্রী চালিয়ে কয়েকগুণ বেশি বিল আসছে। এবার সেই স্মার্ট মিটার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সরকারি প্রতিষ্ঠান বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে আপাতত কোনও বাড়িতে স্মার্ট মিটার লাগানো হল না।
বৈঠকে রাজ্যগুলিকে স্মার্ট মিটার বসানোর জন্য সময় বেঁধে দেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। ডেডলাইন ধরে তিনি বলেন, রাজ্যগুলিকে চলতি বছরের আগস্ট মাসের মধ্যে সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্মার্ট মিটার বসাতে হবে। সোমবার রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের দেওয়া নোটিসে জানানো হয়েছে পরীক্ষামূলকভাবে একাধিক বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানো হচ্ছিল, তবে বেশ কিছু অভিযোগ আসায় আপাতত সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হচ্ছে।
স্মার্ট মিটার কী আসলে?
স্মার্ট মিটার হল একটি আধুনিক মিটার, যা ‘প্রিপেইড মোডে’ কাজ করে। অর্থাৎ গ্রাহককে আগে থেকে রিচার্জ করতে হবে, তারপর বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন পাঁচশো টাকার রিচার্জ করলে, গ্রাহক পাঁচশো টাকারই বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন। যেমনটা আরকী মোবাইলে প্রিপেড সিস্টেমে হয়! কোনও সময় যদি মাঝ রাতে প্রিপেইডের টাকা শেষ হয়ে যায়, তাহলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। বিদ্যুতের দামও চাহিদা অনুযায়ী ওঠানামা করবে যা সাধারণ মানুষের কাছে তীব্র দুর্দশার একটি কারণ হয়ে দাঁড়াবে।