‘গরিবদের সমান চোখে দেখতেন না মা-বাবা’ — এটাই নাকি খুনের কারণ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে মেমারি জোড়া খুনে অভিযুক্ত হুমায়ুন। পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীনই ৬২ দিনের মৌন রোজা পালন করার সিদ্ধান্ত নেয় হুমায়ুন। পুলিশ ও আদালতের তরফে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর তাই লিখে দিচ্ছে হুমায়ুন। সেখানেই উঠে এসেছে নিজের মা-বাবাকে হত্যার একের পর এক চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় হুমায়ুন জানিয়েছে তার মা-বাবা গরিবদের সমান চোখে দেখতেন না, যা হুমায়ুনের ‘পাপ’ বলে মনে হয়। পাপের ফল কী হতে পারে, সেটা সাধারণ মানুষকে দেখানোর জন্যেই মা-বাবাকে নৃশংসভাবে হত্যার পর দেহ ঘর থেকে টেনে বের করে বাইরে নিয়ে আসা হয়েছিল। প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবাকে আঘাত করার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলার নলি কেটে দেয় হুমায়ুন। পরে একই ভাবে মাকেও হত্যা করে। জেরায় এমনটাই জানিয়েছে সে।
রবিবার রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে হুমায়ুনকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে মেমারি থানার পুলিশ। চলতি সপ্তাহের বুধবার পর্যন্ত হুমায়ুনের পুলিশি হেফাজত থাকলেও সোমবারই ধৃত হুমায়ুনকে ফের আদালতে পেশ করা হলে আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মে পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে মুস্তাফিজুর রহমান (৬৬) এবং মমতাজ পারভিনের (৫৬) দেহ উদ্ধার করা হয়। এর পর থেকেই পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হুমায়ুনের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। সেই দিনেই রাতে বনগাঁয় একটি মাদ্রাসায় কয়েকজনের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে হুমায়ুনের বিরুদ্ধে। বনগাঁ হয়ে বাংলাদেশ পালানোর চেষ্টা করেছিল হুমায়ুন। এর পরেই হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।