• SSC-র নয়া নিয়োগ এখন স্বাভাবিক ছন্দে চলবে, এখনই হস্তক্ষেপ করতে রাজি নয় হাইকোর্ট
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ জুন ২০২৫
  • এসএসসির নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এখনই হস্তক্ষেপ করতে রাজি হল না কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের । কিন্তু সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলা দ্রুত শুনতে রাজি হল না হাইকোর্ট। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, নয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ক্ষেত্রে এখনই হস্তক্ষেপ করা হবে না। এখন স্বাভাবিক ছন্দেই নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে। তবে তারইমধ্যে কোনওরকম অসুবিধা হলে সেই বিষয়টি শুনবে হাইকোর্ট। নাহলে আগামী মাসে মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি ভট্টাচার্য।

    যদিও বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের তরফে হাইকোর্টে সওয়াল করা হয় যে ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে মামলা করা হয়েছিল। দুর্নীতির অভিযোগে পুরো প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। চাকরি চলে গিয়েছে প্রায় ২৬,০০০ জনের । তারপর নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। বেঁধে দেওয়া হয় নির্দিষ্ট সময়সীমা।


    কিন্তু সেই নির্দেশের ভিত্তিতে কমিশন যে নতুন করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, তাতে একাধিক নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে নিয়ম ছিল, তা পুরোপুরি মেনে চলা হয়নি। সেটা মোটেও কাম্য হয়। নয়া বিজ্ঞপ্তিতে নিয়ম পরিবর্তনের ফলে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা আরও সমস্যায় পড়েছেন। তাঁদের চাকরি পাওয়ার সুযোগ আরও কমে যাচ্ছে বলে দাবি করেন মামলাকারীদের আইনজীবী।


    নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যাঁরা ওয়েটিং লিস্টে ছিলেন, তাঁরা দাবি করেছেন, দুর্নীতির কারণেই তাঁদের টপকে অনেকে চাকরি পেয়েছিলেন। তাঁদের নাম চলে গিয়েছিল ওয়েটিং লিস্টে। সেই পরিস্থিতিতে নয়া বিধিতে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য যে ১০ নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে, সেটা তাঁরা পাবেন না। যা আদতে মৃত্যু পরোয়ানার শামিল বলে দাবি করেন চাকরিপ্রার্থীরা।


    ১) লিখিত পরীক্ষার করা হয়েছে ৬০ নম্বর।

    ২) ইন্টারভিউয়ের জন্য ১০ নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে।

    ৩) শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০ নম্বর।

    ৪) শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০ নম্বর।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)