শীতলকুচি: বর্ষায় শ্মশানঘাট বেহাল, বৃষ্টিতে শব সৎকার করতে বিপাকে পরিজনরা
বর্তমান | ০৯ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, শীতলকুচি: কোথাও শ্মশানঘাট নির্মাণের দাবি পূরণ হয়নি, কোথাও আবার রাস্তা না থাকায় ব্যবহার করা যাচ্ছে না শ্মশানঘাট। বর্ষায় শীতলকুচি ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় মৃতদেহ সৎকার করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
প্রায় দু’বছর আগে শীতলকুচি ব্লকের পশ্চিম শীতলকুচি গ্রামে শ্মশানঘাট নির্মাণ হলেও রাস্তা হয়নি। ফলে শবদাহ করতে সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা। একই হাল বড় কৈমারি পঞ্চায়েতের বড় পিঞ্জারির ঝাড় জুনিয়র বেসিক স্কুল সংলগ্ন শ্মশানটিরও। এটি ২০১৮ সালে বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল থেকে তৈরি হয়েছিল। কিন্তু রাস্তা নির্মাণ না হওয়ায় শ্মশানঘাটের বিশ্রামঘর ও চুল্লিটি আগাছায় ভরে উঠেছে। বাধ্য হয়ে পাশে বুড়া ধরলা নদীর পাড়ে মৃতদেহ সৎকার করছেন বাসিন্দারা। অপরদিকে, গোঁসাইরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডী মণ্ডপের ঘাটে পাকা শ্মশানঘাটের দাবি আজও পূরণ হয়নি। কয়েক বছর আগে স্থানীয় এক ব্যক্তির উদ্যোগে শ্মশানঘাটের চুল্লি ও বিশ্রামঘর নির্মাণ হওয়ায় কিছুটা সমস্যা কমেছিল। কিন্তু বর্তমানে সেটি বেহাল হয়ে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। বর্ষায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে। এছাড়াও লালবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের নগর লালবাজার, দেবনাথপাড়া, কৈলাসের ঘাট এলাকায় শ্মশানে ছাউনির দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
যদিও বিষয়টি নিয়ে শীতলকুচি বিডিও সোফিয়া আব্বাস জানান, বাসিন্দারা তাঁদের দাবি লিখিত আকারে জানালে খতিয়ে দেখা হবে। বড় কৈমারির বাসিন্দা শচীন বর্মন বলেন, রাস্তার দাবি বহুবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানালেও রাস্তা নির্মাণ হয়নি। বাধ্য হয়ে নদীর ধারেই আমাদের শবদেহ দাহ করতে হয়। বৃষ্টি এলে সমস্যার শেষ থাকে না। এ বিষয়ে শীতলকুচি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মদন বর্মন জানান, বিভিন্ন এলাকায় নতুন শ্মশানঘাট নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলেই সেগুলির কাজ শুরু হবে। নিজস্ব চিত্র।