সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে বিকল ইঞ্জিন। রবিবার নকশালবাড়ির বেঙ্গাইজোতে দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকল শিলিগুড়ি-কাটিহার ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। ফলে অন্য স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতে হল দূরপাল্লার একাধিক ট্রেনকে। এদিকে তীব্র গরমে হাঁসফাঁসে যাত্রীরা কেউ কেউ অপেক্ষা না করে রেললাইন সংলগ্ন ২ নম্বর এশিয়ান হাইওয়ে থেকে বাস ধরে গন্তব্যে রওনা দেন। অনেকে ঠান্ডা জল, আইসক্রিম কিনতে ভিড় জমান গ্রামের দোকানে। কেউ আবার গাছতলায় আশ্রয় নেন।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল ৩টা নাগাদ নকশালবাড়ি স্টেশন থেকে ট্রেনটি রওনা হয়। ১ কিমি যেতে না যেতেই ইঞ্জিন বিকলের জেরে দাঁড়িয়ে পড়ে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। শিলিগুড়ির বাসিন্দা ছোটু পাসওয়ান বলেন, গলগলিয়াতে আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছি। কিন্তু দেড় ঘণ্টা হতে চলল ট্রেনটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। বিহারের কিষানগঞ্জের বাসিন্দা সুরজ কুমার বলেন, সপরিবারে শিলিগুড়ি থেকে কাটিহার ফিরছি। দু’ঘণ্টা হতে চলল রেলের কোনও কর্মী এনিয়ে মুখ খুলছেন না। কী করবো বুঝতে পারছি না। বাগডোগরার বাসিন্দা ধনঞ্জয় রায় বলেন, ডালখোলা যাব। ইঞ্জিন বিকলের জন্য ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়েছে। বগির ফ্যানগুলিও ঠিকঠাক চলছে না। গরমে বসে থাকা যাচ্ছে না।
এদিকে প্রায় দুই ঘণ্টা পর বাগডোগরা থেকে রিকাভরি ইঞ্জিন ট্রেনটিকে টেনে নকশালবাড়ি স্টেশনে নিয়ে যায়। সেখান থেকে রিকাভরি ইঞ্জিনের সাহায্যে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ট্রেনটি কাটিহারের উদ্দেশে রওনা দেয়।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর জেরে সিকিম মহানন্দা এক্সপ্রেসকে বেশ কিছুক্ষণের জন্য বাগডোগরা স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। নকশালবাড়ি স্টেশনে ক্যাপিটাল এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে পড়ে। অধিকারী স্টেশনে বালুরঘাট প্যাসেঞ্জার ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে উত্তর-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি।