• সমাধি খুঁড়ে মৃতদেহ চুরি! নবদ্বীপ মহাশ্মশানে শোরগোল, চরমে রাজনৈতিক চাপানউতোর
    এই সময় | ০৭ জুন ২০২৫
  • একের পর এক লাশ গায়েব! সমাধি খুঁড়ে দেহ তুলে পাচার করে দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। শনিবার সকাল থেকে এমনই অভিযোগে সরগরম নবদ্বীপ মহাশ্মশান। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শ্মশান কর্তৃপক্ষের মদতেই একাধিক সমাধি থেকে দেহ উধাও হয়ে যাচ্ছে। এই নিয়ে নবদ্বীপ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও।

    গতকাল নবদ্বীপ মহাশ্মশানের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, সমাধি এলাকায় বড় বড় চার থেকে পাঁচটি গভীর গর্ত। এরপরই শোরগোল পড়ে যায়। অভিযোগ, সমাধি খুঁড়ে দেহ তুলে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। নবদ্বীপ শ্মশানঘাটের কর্মী মানস সাহা বলেন, ‘নদিয়ার আমঘাটা থেকে মৃতদেহ সৎকার করতে এসেছিলেন কয়েকজন। বিষয়টি তাঁদেরই প্রথম নজরে আসে।’

    সঙ্গে সঙ্গে হইচই পড়ে যায়। ছুটে আসেন শ্মশান কর্তৃপক্ষ। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এ দিন ঘটনাস্থলে আসেন নবদ্বীপ থানার আইসি জলেশ্বর তিওয়ারি। তিনি বলেন, ‘একটা দেহ নিখোঁজ হয়েছে। মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত চলছে।’ শ্মশানে পুলিশ পিকেট বসানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    মৃতদেহ চুরির ঘটনায় তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘একটা আপাদমস্তক চোরেদের পার্টি। এদের সবকিছু চুরি করে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। এখন মাটির ভিতর থেকে কঙ্কাল চুরি করছে। এই ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হওয়া দরকার।’ যদিও বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বিমান সাহা বলেন, ‘এসব বাজে কথা। তৃণমূলের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই। এসব বলে পুরসভাকে কলুষিত করার চেষ্টা করছে বিজেপি।’

    এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, এখানে এতগুলো গর্ত রয়েছে তা প্রশাসন জানতো না? এর সঙ্গে বড় কোনও চক্র জড়িত আছে। শ্মশানের লোকজনেরও মদত রয়েছে। নাহলে এমন ঘটনা সম্ভব নয়।

  • Link to this news (এই সময়)