• সাড়ম্বরে মাহেশে জগন্নাথ মন্দিরের মাথায় বসল নীল চক্র, কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই চক্রের?
    এই সময় | ০৭ জুন ২০২৫
  • দিঘায় সাড়ম্বরে রথাযাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে শুক্রবার হুগলির মাহেশে জগন্নাথ মন্দিরের মাথায় বসল নীল চক্র। পুরী থেকে সেই নীল চক্র নিয়ে আসা হয়েছে। এ দিন বিকেলে বিশেষ পুজো ও হোম যজ্ঞের মধ্যে দিয়ে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম জগন্নাথ দেবের মন্দিরের মাথায় নীল চক্র বসানো হয়। সেই দৃশ্য দেখতে সারাদিনই মন্দির চত্বরে ভিড় জমিয়েছিলেন ভক্তরা।

    নীল চক্র বসানো উপলক্ষে শুক্রবার সকাল থেকে মাহেশের জগন্নাথ মন্দির চত্বর উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পুরোহিতদের মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ পুজো, হোম ও যজ্ঞ। জানা গিয়েছে, যে নীল চক্রটি বসানো হয়েছে, তার ওজন ৮৩ কেজি। উচ্চতায় ৮.৩ ফুট এবং চক্রের পরিধি ৫.৫ ফুট। এই বৃহৎ অষ্টধাতু দিয়ে তৈরি সুদর্শন চক্রটি জনগণের মঙ্গল কামনার জন্য মন্দিরের চূড়ায় স্থাপন করা হয়েছে।

    এ দিন দুপুরে প্রভু জগন্নাথ দেবের ভোগ ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এর পর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সাড়ে চারটে নাগাদ হাজার হাজার ভক্তের উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মাহেশের জগন্নাথ মন্দির চত্বর। প্রায় এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় মন্দিরের চূড়ায় স্থাপন করা হয় নীল চক্র। কথিত রয়েছে, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চূড়ার আশপাশ দিয়ে কোন বিমান বা পাখি যাতায়াত করতে পারে না। প্রভু জগন্নাথের আশীর্বাদে নীল চক্র মন্দিরের নিরাপত্তা প্রদান করে।

    মাহেশের জগন্নাথ দেব ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী বলেন, ‘পবিত্র অষ্টধাতুর তৈরি এই নীল চক্রটি পুরী থেকে ১৫ দিন আগে মাহেশে আনা হয়েছে। এই নীল চক্র আমি পুরীতে গিয়ে নিয়ে এসেছি। ভক্তদের বিশ্বাস, এই চক্রের ঐশ্বরিক ক্ষমতা রয়েছে। এ ছাড়াও ভগবান জগন্নাথ দেবের ঐশ্বরিক শক্তির মধ্যে দিয়ে মন্দিরের নিরাপত্তার বিষয়টিও এই নীল চক্র বহন করে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘এই নীল চক্র হলো মানসিক শান্তির প্রতীক। যদি কোন ভক্ত এই নীল চক্রের দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করেন, তাহলে তাঁর মানসিক শান্তি আসবেই। কোন খারাপ চিন্তা আর মনে বাসা বাঁধতে পারবে না। তাই আজ নীল চক্র বসানোর পর আমরা মাহেশবাসী হিসেবে গর্ববোধ করছি।’

  • Link to this news (এই সময়)