• তৃণমূলেই শঙ্কর, কমিটি কংগ্রেসে
    আনন্দবাজার | ০৫ জুন ২০২৫
  • শেষ পর্যন্ত দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসেই যোগ দিলেন উত্তরবঙ্গের কংগ্রেস নেতা শঙ্কর মালাকার। প্রাক্তন বিধায়ক, দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের (সমতল) সভাপতি শঙ্করের সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ নতুন নয়। আগেও শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দলবদলের বিষয়ে কথা হয়েছিল তাঁর। জল্পনায় ইতি টেনে বুধবার কলকাতায় তৃণমূল ভবনে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিয়ে শঙ্কর বলেছেন, ‘‘বিরোধী দলে থেকে মানুষের জন্য কাজ করা যায় না। আমরা মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছি।’’ সেই সঙ্গেই উত্তরবঙ্গে বিজেপির ‘বিভাজনের রাজনীতি’ মোকাবিলা করতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে যোগ দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের সাংগঠনিক ভারপ্রাপ্ত রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার ও বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়।

    শঙ্করের গতিবিধি নিয়ে কিছু দিন ধরেই কংগ্রেস শিবিরে নানা জল্পনা দানা বাঁধছিল। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে চিঠি দিয়ে মঙ্গলবার পদত্যাগের কথা জানিয়েছিলেন শঙ্কর। আনুষ্ঠানিক ভাবে তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগে এ দিন কংগ্রেস তাঁকে দার্জিলিং জেলা সভাপতি-সহ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির পদ থেকেও সরিয়ে দিয়েছে। আপাতত দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনার জন্য শিলিগুড়ির দীর্ঘ দিনের কংগ্রেস নেতা সুবীন ভৌমিককে আহ্বায়ক এবং অমিতাভ সরকার, জীবন মজুমদার ও অলোকেশ চক্রবর্তীকে সহ-আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। তবে প্রথমে চার জনের কমিটি হলেও দিল্লির হস্তক্ষেপে পরে বিশেষ আমন্ত্রিত হিসেবে শিলিগুড়িতে কংগ্রেসের একমাত্র পুর-প্রতিনিধি সুজয় ঘটক এবং আলি আখতার মোসলেউদ্দিন আহমদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর শঙ্করের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সুমন রায়চৌধুরীর পাল্টা মন্তব্য, ‘‘বেশ লাগল, তৃণমুলের মঞ্চে বসেই তৃণমূলকে বিঁধেছেন শঙ্করবাবু। দশ বছরে ওঁর বিধায়ক হিসাবে উপলব্ধি, বিরোধী দলে থাকলে বাংলায় কাজ করা যায় না। আমাদের অভিযোগেই সিলমোহর দিলেন তিনি!’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)