রক্তিমা দাস: বর্ষা আসতেই কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মশা বাহিত রোগ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী অন্য বছরে তুলনায় এ বছর ডেঙ্গি (Debgue) আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। যদিও দক্ষিণ কলকাতার একাধিক ওয়ার্ডে ডেঙ্গির প্রভাব রয়েছে সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে চারটি বরো- ৭, ১০, ১১ ও বরো ১২।
বুধবার ১১ নম্বর বোরোতে বৈঠক করেন ডেপুটি মেয়র তথা কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। পুরসভা সূত্রে খবর, এ বছর জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ১১ নম্বর বরোতে ডেঙ্গি আক্রান্ত সংখ্যা ৮। ২০২৪ -এ এই সময়কালে ১১ নম্বর বরোতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১, ২০২৩- এ সংখ্যা ৮। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ১০৩, ১০৪, ১১০, ১১১, ১১২, ১১৩ ও ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরা।
গত বছর ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কম হলেও, ২০২৩ এর তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। ওই অবস্থাকে মাথায় রেখেই এবছর কাউন্সিলরদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন ডেপুটি মেয়র। এ প্রসঙ্গে অতীন ঘোষ জানান, সতর্ক করা হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদেরও। যদি কেউ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেন, বাড়ির আশেপাশে ময়লা করে রাখেন এবং সেখানে যদি লার্ভা পাওয়া যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে ৪৯৬ ধারায় মামলা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে আবর্জনা সরিয়ে ফেলার কাজ করছে কলকাতা পুরসভা। সেক্ষেত্রে সেই চার্জ তার সম্পত্তি করে সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, পুরসভা সূত্রে খবর, জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯। ২০২৪ সালে এই সময় কালে কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা একই ছিল, অর্থাৎ ৮৯। যদিও ২০২৩ সালে এই সময়কালে কলকাতা ডিঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছড়িয়েছিল। জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ২০২৩ সালে কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২৩। এবছর ডেঙ্গির সঙ্গে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাবও অনেকটাই কমেছে। কলকাতা পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত কলকাতায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ২০৪। ২০২৪ সালের এই সময়কালে কলকাতা ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৯২। ২০২৩ সালে এই সময়কালেও কলকাতায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছড়িয়ে হয়েছিল ১০৭৬।