এই সময়: ট্যুর অ্যান্ড ট্র্যাভেলস ব্যবসার আড়ালে কতদিন ধরে টাকা ট্র্যান্সফারের কারবার চলছিল, বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে যাঁদের টাকা পাঠানো হতো, তার কোনও তথ্য কি সংরক্ষণ করা হতো — কলকাতার ব্যবসায়ী মাসুদ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ চান জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।
সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত মাসুদ যে বয়ান দিয়েছেন, তাতে বিস্তর ধোঁয়াশা রয়েছে। সোমবারের পরে মঙ্গলবারেও মাসুদ নিউ টাউনে এনআইএ দপ্তরে হাজিরা দেন।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, চরবৃত্তি এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ নথি পাকিস্তানে পাচারের অভিযোগে ধৃত সিআরপিএফ জওয়ান মোতিরাম জাটের কাছে মাসুদের ট্রাভেলস এজেন্সি থেকে টাকা গিয়েছিল।
তদন্তকারীদের দাবি, মোতিরামকে কেন তিনি ওই টাকা পাঠিয়েছিলেন, জেরায় তাঁর সদুত্তর দিতে পারেননি মাসুদ। এ বিষয়ে বিস্তারিত নথি তলব করা হয়েছে মাসুদের কাছে।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, মাসুদ একবার ১৩ হাজার, একবার ২২ হাজার এবং একবার পাঁচ হাজার টাকা মোতিরামকে পাঠিয়েছিলেন। তবে, গোয়েন্দাদের কাছে মাসুদের দাবি, অন্য একজন ওই টাকা তাঁকে পাঠিয়ে মোতিরামকে ফরোয়ার্ড করতে বলেছিলেন।
তিনি নির্দেশ মেনে টাকা মোতিরামকে পাঠান। তবে মোতিরামকে পাঠানোর জন্য কে, কখন, কত টাকা তাঁর কাছে পাঠিয়েছিলেন, তা এখন আর তিনি মনে করতে পারছেন না বলে মাসুদ তদন্তকারীদের জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর, মাসুদ ছাড়াও খিদিরপুরের ব্যবসায়ী মহম্মদ ইজাজ়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। তবে, এ দিন তিনি এনআইএ দপ্তরে আসেননি। বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে তপসিয়ার একটি হোটেলের কর্মী মহম্মদ ওয়াকিলেরও।
এই দু’জনের ভূমিকাও সন্দেহজনক বলে মনে করছেন এনআইএ অফিসারেরা। জানা গিয়েছে, কলকাতার বাসিন্দা হলেও, গত ২০ বছর ধরে ওয়াকিল এখানে ছিলেন না। সম্প্রতি তিনি শহরে ফেরেন এবং তপসিয়ায় কাজে যোগ দেন।
রাজাবাজারে অস্থায়ী ভাবে থাকতে শুরু করেন। দেশ জুড়ে চরবৃত্তির অভিযোগে ধৃতদের জেরা করে ওয়াকিলের নাম জানতে পারেন এনআইএ অফিসারেরা। কলকাতায় ফেরার আগে ওই ব্যক্তি কোথায় কোথায় ছিলেন, সে বিষয়েও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা হচ্ছে।