তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির দাবিতে মঙ্গলবার বিধাননগরে বিজেপির বিক্ষোভ দেখানোর একটি কর্মসূচি ছিল। কিন্তু নিজেদের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ভেস্তে গেল কর্মসূচি। মঙ্গলবার বেলায় এই ঘটনায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। কয়েক জন আহত হয়েছেন বলে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন করুণাময়ী আবাসনের কাছে জড়ো হয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ আচমকা গোলমাল শুরু হয়। বচসা থেকে বিষয়টি হাতাহাতিতে গড়ায়। অভিযোগ, ধস্তাধস্তি, মারপিট কিছুই বাদ যায়নি। হেলমেট দিয়ে কারও কারও মাথায় আঘাত করারও অভিযোগ ওঠে। এমনকি, মারধর করা হয় বিজেপি যুব মোর্চার এক নেত্রীকেও। শেষে নেতারা দু’পক্ষকে সরিয়ে নিয়ে যান।
বিধাননগরের নেতা-কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, তাঁরা বিক্ষোভ দেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেই সময়ে বিজেপি নেতা পীযূষ কানোরিয়া সেখানে দলবল নিয়ে হাজির হন। অভিযোগ, তাঁর মদতেই গোলমালের সূত্রপাত। বিজেপির বিধাননগরের মণ্ডল ২-এর যুব মোর্চার সভাপতি প্রশান্ত দেবনাথের অভিযোগ, পীযূষ দলের কোনও পদে নেই। তাঁর দলবল দাবি করে, অনুব্রতর গ্রেফতারি চেয়ে এ ভাবে কর্মসূচি করা যাবে না। বিজেপি কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, এর আগেও দলের এক নেতাকেমারধরের অভিযোগ উঠেছিল পীযূষের বিরুদ্ধে। তাঁরা জানান, এই ঘটনায় তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাবেন।
সূত্রের খবর, কী নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত, তা স্পষ্ট হয়নি। তবে কর্মসূচি ভেস্তে দেওয়াই লক্ষ্য ছিল বলে এক পক্ষের অভিযোগ। পীযূষের দাবি, তাঁর উপস্থিতি সহ্য করতে না পেরেই এই গোলমাল করা হয়েছে। রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ‘‘আমি গর্বিত দলের কর্মীদের নিয়ে। তাঁরা মোদীজির সৈনিক। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই করতে প্রস্তুত। অত্যুৎসাহে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। কিন্তু তৃণমূলের মতো আমরা ত্রাণের ত্রিপল, চাল, বালি, কয়লা, গরু, লুটের ভাগ নিয়ে মারপিট করি না।’’