মিল্টন সেন, হুগলি: পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ নয়। রেল উচ্ছেদ রুখতে এবার জন প্রতিনিধিদের নিয়ে ধর্নায় বসলেন সপ্তগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। বাধার মুখে উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত রাখতে বাধ্য হল রেল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, বাঁশবেড়িয়া অবনী পল্লী এলাকায় শতাধিক পরিবারের বসবাস। প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে তাঁরা বসবাস করে আসছেন। মাস খানেক আগে সেই বাসিন্দাদের উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। কলোনিতে বসবাসকারী মোট ৫৫টি পরিবারকে রেলের তরফে ধরানো হয়েছে উচ্ছেদের নোটিশ। মঙ্গলবার ছিল উচ্ছেদের দিন। রেল উচ্ছেদ রুখতে সকাল থেকে বাঁশবেড়িয়া স্টেশন লাগোয়া রেলগেটের পাশে অবস্থান শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। অবস্থানে ছিলেন স্থানীয় সপ্তগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত, বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী, ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পী চ্যাটার্জী, জেলা পরিষদের সদস্য তথা প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদার সহ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
এদিন উচ্ছেদ প্রসঙ্গে বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত বলেছেন, কোনওভাবেই পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করা যাবে না। এই তথ্য আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবুও পুনর্বাসন ছাড়াই উচ্ছেদ করতে উদ্যত হয় রেল কর্তৃপক্ষ। এদিন রেলের উচ্ছেদ করার দিন ছিল। তাই তিনি অবস্থান ধর্না শুরু করেছেন। তপন বাবু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বসবাসকারী সকলেই গরিব মানুষ। একটা পরিবারকেও ওখান থেকে বিনা পুনর্বাসনে উচ্ছেদ করা যাবে না। রেল বিকল্প জায়গা দিলে তাঁরা নিজেরাই বাসিন্দাদের সেখানে সরিয়ে দেবেন। এদিন বাধার মুখে পরে রেলের তরফ থেকে আরপিএফ আধিকারিকরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন। আগামী সোমবার ব্যান্ডেলে রেলের সঙ্গে বৈঠকের দিন নির্ধারিত হয়েছে। সেই বৈঠকের নির্যাস থেকেই আগামী দিনে আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করা হবে। তবে যাই হোক, পুনর্বাসন ছাড়া কোনওভাবেই উচ্ছেদ মেনে নেওয়া হবে না।