• নবদ্বীপ বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট স্টেশনে রেলের উচ্ছেদ অভিযান শুরু
    বর্তমান | ০৩ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: রেলের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হল নবদ্বীপ বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট স্টেশনে। রেল কর্তৃপক্ষ নোটিস দিয়েছে আগেই। ১৬ মে ছিল দোকান উঠিয়ে নেওয়ার শেষদিন। নবদ্বীপ বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম এবং স্টেশন বিল্ডিংয়ের আশপাশের বেআইনি দোকান, রেলের সীমানার ভিতরে যে সব দোকান আছে প্রতিটি দোকানদারকেই সরে যেতে হবে এমনই নোটিশ জারি করা হয়েছিল। তবে সময়সীমা শেষ হলেও এতদিন দোকান সরিয়ে নেননি অনেকেই। এরপর রবিবার রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরিয়ে না নিলে সোমবার ভেঙে দেওয়া হবে ওই সব দোকান। এদিন দেখা গেল দোকানের অবশিষ্ট মালপত্র বাঁচাতে অনেক দোকানি নিজেরাই সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের দোকানের কাঠামো, সামগ্রী ।

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নবদ্বীপ বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট স্টেশনের রেলের সীমানায় যে  ৩৫ থেকে ৪০টি দোকান আছে, সেইসব দোকান মালিককে ফের রেলের  জায়গা থেকে সরিয়ে নিতে বলা হয়। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগেও ওই সব দোকানে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় ওইসব দোকানদার আরও সময়  নিয়েছিলেন। শেষবার স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ১৬ মের মধ্যে রেলের সীমানা থেকে দোকান সরিয়ে নিতে হবে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা দোকান সরাননি। তারপরেও রেলের পক্ষ থেকে কিছুদিন সময় দেওয়া হয়। সেই সময়ের মধ্যে দোকান না সরালে রেল আধিকারিক আইন মতো ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী রবিবারও ওইসব দোকানদারকে মৌখিকভাবে বলা হয় দোকান সরিয়ে নেওয়ার জন্য। কিন্তু দোকানদারদের দাবি ছিল, রেলের তরফ থেকে তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়া হোক। শেষ পর্যন্ত এদিন দোকানদারদের অনেকেই নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে দোকান সরিয়ে নেন। এরপরেও যাঁরা দোকান সরাননি, তাদের দোকান এদিন উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়। 

    স্থানীয় মালঞ্চপাড়া চন্দ্র কলোনির বাসিন্দা খোকন দেবনাথ বলেন, প্রায় ১৭ বছর ধরে এখানে রেস্তরাঁ ও লটারির দোকান করছিলাম। বাড়িতে ছেলেমেয়ে ও স্ত্রী আছে। এই দোকানের রোজগারের উপর নির্ভর করতে হয়। রবিবার দিন আরপিএফ সাহেবরা বলে গেছেন দোকান সরিয়ে নিতে, তাই সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। রেলের কাছে সময় চেয়েছিলাম, কিন্তু রেল সময় দেয়নি। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নবদ্বীপ বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট-এ ফুট ওভারব্রিজের কাজ চলছে। এছাড়াও অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)