• রাতারাতি ‘পহেলগাঁও’ তকমা বাঘমুন্ডির ঠুরগা ড্যামের, গ্রীষ্মেও উপচে পড়া ভিড়
    বর্তমান | ০৩ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, পুরুলিয়া: বাঘমুণ্ডির ‘পহেলগাঁও’-এ নিত্যদিন ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের। তবে, শুধু বাইরে থেকে আসা পর্যটকই নয়, স্থানীয়রাও সেলফি তোলার নেশায় ছুটে যাচ্ছেন ঠুরগা ড্যাম এলাকায়। অনেকেই আবার বিকেলে খানিকটা সময় সবুজ-সান্নিধ্যে থাকতে ঠুরগা এলাকাকে বেছে নিচ্ছেন। 

    ফি গ্রীষ্মে ঠুরগা ড্যামের জল খানিকটা কমে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সেচদপ্তরের ওই জলাধারের পাহাড় লাগোয়া একটা বড় অংশে জল নেই। সেখানে তৈরি হয়েছে সবুজ ঘাসের গালিচা। সেই সবুজ দিগন্ত বিস্তৃত। তার পরেই অযোধ্যা পাহাড়ের অংশ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর গোটা এলাকা। সোশ্যাল মিডিয়া এবং লোকমুখে এলাকাটিকে বলা হয়, বাঘমুণ্ডির ‘পহেলগাঁও’। আগে এখানে মাওবাদীদের খানিক দাপাদাপি ছিল। সে সব এখন অতীত। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হানার পর ঠুরগা ড্যামের কদর যেন বেড়েছে। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রতিদিন বিকাল হলেই জলাধারের ওই অংশে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটক থেকে শুরু করে এলাকার সাধারণ মানুষ। জলাধারের পাড় থেকে পাহাড় ঘেঁষে নিচে নামার রাস্তা রয়েছে। ওই পাহাড়ি রাস্তা ধরে পৌঁছে যাওয়া যায় সেলফি জোনে। সেখানে গিয়ে অনেকে রিলও বানাচ্ছেন। সেই সঙ্গে রয়েছে আচমকা হাতি দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা। সেটা হলে উপরি পাওনা। সম্প্রতি ওই এলাকাতে ছবি তুলতে গিয়েই স্থানীয়রা প্রায় কুড়িটি হাতি একসঙ্গে দেখতে পান। 

    স্থানীয় একটি হোমস্টের মালিক জয়ন্ত মাহাত বলছিলেন, ‘পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর লোকমুখে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে ঠুরগা ড্যামের একাংশ বাগমুণ্ডির পহেলগাঁও হিসেবে পরিচিতি লাভা করেছে। বাইরের পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়দের ভিড় জমছে। কেউ সেখানে সেলফি তুলছেন। কেউ আবার বানাচ্ছেন রিল।’ বাঘমুণ্ডি এলাকায় গাইড এর কাজ করেন বিশ্বনাথ কর। তাঁর কথায়, ‘সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবি এবং বিভিন্ন রিল দেখে গরমের এই মরশুমে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের জায়গা হয়ে গিয়েছে ঠুরগা ড্যাম। অন্যান্য বছরেও ড্যামে জল কমে যায়। জলাধারের ওই অংশে চোখধাঁধানো সবুজ-সৌন্দর্য। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে পহেলগাঁও তকমা। সেটাই পর্যটকদের টানছে ঠুগরা ড্যাম। তবে, বর্ষায় জলাধারে জল বাড়লে এলাকাটি চলে যাবে জলের তলায়।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)