বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএসসির জুলজি বিভাগের এক মেধাবী ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুতে শোরগোল। মৃত ছাত্রীর নাম কোয়েল অধিকারী (২১)। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার গোপালনগর হাট এলাকায়।  

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরের শরৎপল্লি এলাকায় একটি মেস ভাড়া নিয়ে থাকতেন কোয়েল। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএসসির জুলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই তিনি পড়াশোনায় ভালো। ফলে পরিবারের প্রত্যাশাও ছিল তাঁর উপরে। 

রবিবার মেসের বাথরুমে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বর্ধমান থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। 

কী ভাবে মৃত্যু হলো কোয়েলের? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ জানাচ্ছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পরেই এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব। কোয়েলের মা রেখা অধিকারী আশাকর্মী এবং বাবা বেঙ্গালুরুতে কর্মরত। তাঁর এক বোনও রয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, কষ্ট করেই মেয়েকে পড়াচ্ছিলেন তাঁরা। রবিবার দুপুরের দিকে কয়েকবার কোয়েলকে ফোন করেন তাঁর মা। কিন্তু মেয়ে ফোন ধরেনি বলে জানান তিনি। 

কোয়েলের মামা প্রদ্যুৎ সামন্ত জানাচ্ছেন, তাঁদের বাড়ির মেয়ে সব সময় পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকত। কোয়েল আত্মঘাতী হতে পারে, তা মানতেই পারছেন না তাঁরা। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।