• আজ খুলছে স্কুল, ফের মনে করানো হবে করোনা-বিধি
    আনন্দবাজার | ০২ জুন ২০২৫
  • গরমের ছুটির পর আজ, সোমবার থেকে খুলে যাচ্ছে সমস্ত সরকারি, সরকার পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল। করোনা নিয়ে আতঙ্ক নয়, তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পরামর্শ দিচ্ছেন সব স্কুলের কর্তৃপক্ষ।

    প্রধান শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, আগামী তিন মাস অর্থাৎ, জুন থেকে অগস্ট পড়াশোনার মরসুম। ওই তিন মাস স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। স্কুলে নিয়মিত আসতে হবে। তবে এ দিন স্কুল খুললেও ওবিসি সংরক্ষণের জটে আটকে বেশির ভাগ সরকারি স্কুলই এখনও একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু করতে পারল না।

    হিন্দু স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভ্রজিৎ দত্ত বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই স্কুলের ওয়টস্যাপ গ্রুপে জানিয়ে দিয়েছি যে স্কুলে আসার ও যাওয়ার সময়ে যারা বাস, ট্রাম বা ট্রেনে যাতায়াত করে, তারা অন্তত মাস্ক পরে থাকবে। সঙ্গে স্যানিটাইজ়ার রাখতে হবে। টিফিন ভাগ করে খাবে না। এই বিষয়টা স্কুলের প্রার্থনার সময়ে মনে করিয়ে দেওয়া হবে।’’ শুভ্রজিৎ আরও জানান, ওবিসি সংরক্ষণের জটে আটকে তাঁদের স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করা যায়নি। তাঁরা নোটিস দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, এই জট কাটলেই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। তাই তাঁরা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের কাছে আবেদন করবেন, একাদশের রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা যেন বাড়ানো হয়।

    জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, বমির মতো উপসর্গ দেখা দিলে স্বাস্থ্যকেন্দ্র অথবা চিকিৎসকের কাছে পড়ুয়াদের যাওয়ার কথাও বলছে স্কুলগুলি। পুরো সেরে না ওঠা পর্যন্ত স্কুলে আসতেও বারণ করা হয়েছে। সোমবার স্কুল খোলার দিন কয়েক আগেই স্কুলের ওয়টস্যাপ গ্রুপে এমনই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সচেতন করেছে নারায়ণ দাস বাঙুর মেমোরিয়াল মাল্টিপারপাস স্কুল। প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, ‘‘করোনা-ভীতি ছড়ানো নয়, আমরা অগ্রিম সচেতন করছি পড়ুয়াদের। পড়ুয়াদের মাস্ক পরতে বলেছি। বিজ্ঞপ্তিতে বলেছি, জলের বোতল অথবা টিফিন আনতে। মিড ডে-মিল ভাগ করে খাওয়া যাবে না।’’

    মিত্র ইনস্টিটিউটশন ভবানীপুর শাখার প্রধান শিক্ষক রাজা দে, যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য, যোধপুর পার্ক বয়েজ় স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার জানান, সোমবার স্কুল খুললে প্রার্থনার সময়ে মনে করানো হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা। হাত ধুয়ে খাওয়া, জীবাণুনাশক সঙ্গে রাখা উচিত। পড়ুয়াদের জ্বর হলে স্কুলে না আসার কথাও বলেছেন তাঁরা।

    পার্থপ্রতিম বলেন, ‘‘জুনের মাঝামাঝি থেকে অগস্ট পর্যন্ত টানা ক্লাস হয়। আমাদের পাখির চোখ ওই সময়ে পড়ানো। এর মধ্যে করোনার কারণে স্কুল আসা বন্ধ হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ওই পড়ুয়াই।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)