অয়ন ঘোষাল: ১ জুনের রাত সাম্প্রতিক কালের মধ্যে সবথেকে অস্বস্তিকর রাত ছিল। তাপমাত্রা ২৯.২ হলেও আপেক্ষিক আর্দ্রতা রাতেও ৫৯ শতাংশ ছিল। যা সচরাচর ঘটেনা। ফলে ফিল লাইক তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ৩৬ ডিগ্রিতে। এদিকে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা কবে আসবে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সুস্পষ্ট পূর্বাভাস নেই।
লং টার্ম ফোরকাস্ট অনুয়ায়ী, দক্ষিণবঙ্গে জুনের প্রথম সপ্তাহে নামমাত্র বৃষ্টিতে কষ্ট আরও বাড়বে। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে মাঝারি মাপের বৃষ্টি পাবে বাছাই করা কিছু জেলা। জুনের তৃতীয় সপ্তাহে বৃষ্টির পরিমান কিছু জেলায় আশানুরূপ হবে। জুনের শেষ সপ্তাহে সার্বিক ভাবে দক্ষিণবঙ্গ সন্তোষজনক বৃষ্টির মুখ দেখতে পারে।
কলকাতায় জুন মাসে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৫০ মিলিমিটার অতিক্রম করার সম্ভাবনা কম। নিম্নচাপের ছেড়ে যাওয়া জলীয় বাষ্প এবং মৌসুমী অক্ষরেখার জোড়াফলায় দার্জিলিং-সহ পাঁচ জেলাতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা মালদা ও দুই দিনাজপুরে।
দক্ষিণবঙ্গে আর্দ্রতাজনিত চরম অস্বস্তি। স্থানীয়ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। সেই বৃষ্টিতে স্বস্তি ফেরার বদলে হিতে বিপরীত হবে। বর্ষা থমকে উত্তরে। ১০ দিন আগেই বর্ষা ঢুকেছিল উত্তরবঙ্গে। অনুকূল পরিস্থিতিতে ২৯ মে উত্তরবঙ্গে বর্ষা পৌঁছায়।
কিন্তু তারপর থেকে আজ ২ জুন পর্যন্ত দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর দক্ষিণাংশ একই জায়গায় অনড়। মঙ্গলবার থেকে অন্তত ৫ দিনের জন্য দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই চূড়ান্ত অস্বস্তিকর ঘর্মাক্ত গরম। সঙ্গে দোসর পারদের উত্থান।
কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ। কিন্তু খুব উল্লেখ্যযোগ্য বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। যার অর্থ কলকাতায় ঘামের পরিমান বাড়বে। ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস অবস্থা হবে শহরের। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি বদলের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।