• ঘরে পড়ে সাত মাসের শিশুর নিথর দেহ! পাশেই রক্তাক্ত মা...
    ২৪ ঘন্টা | ০২ জুন ২০২৫
  • প্রদ্যুত্‍ দাস: ময়নাগুড়ি জল্পেশ শ্রীলংকা এলাকায় ঘর থেকে উদ্ধার এক সাত মাসের শিশুর মৃতদেহ। পাশেই পড়ে রয়েছে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃত শিশুর মা। রবিবার জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের মাধবডাঙ্গা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের জল্পেশ শ্রীলংকা এলাকায় ঘর থেকে উদ্ধার হল সাত মাসের শিশু জেবিকা রায়ের, সেই সঙ্গে পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে মৃত শিশুর মা মৌমিতা রায়।

    এলাকার বাসিন্দারা জানান মৌমিতার এবং মলিনের বিয়ে হয় বছর দুইয়েক আগে। মৌমিতার বাড়ি পাশেই জল্পেশ মেলার মাঠ সংলগ্ন আমতলায়। ভালোবেসে বিয়ে করায় দুই পরিবারের পক্ষ থেকেই বিষয়টি মেনে নেয়নি। ফলে মলিন রায় তার কাকা বিমল রায়ের বাড়িতে একটি ঘরে মেয়ে-স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। মলিন পেশায় একজন দিনমজুর। বাসিন্দারা জানান একই ঘরের এক পাশে থাকেন পরিবার নিয়ে কাকা বিমল রায়।

    শনিবার রাতে যথারীতি খাওয়া-দাওয়া করে মৌমিতা বাচ্চাকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। বাড়িতে ছিলেন না স্বামী, কাজের সুবাদে তাকে বাইরে থাকতে হয়। এক বাসিন্দা তাদের বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করলে মৌমিতা দরজা খোলেনি। পাশেই ঘরের বাঁশের বেড়া খুলতে চক্ষু চড়ক গাছ। তিনি দেখতে পান মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে তার মেয়ে, মা মৌমিতার গলায় ক্ষত এবং হাতে ক্ষত রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ওই বাসিন্দা চেঁচামেচি করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে ঘটনাস্থলে।পরবর্তীতে তড়িঘড়ি করে দুজনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে জেবিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসক। 

    এখন মৌমিতার চিকিৎসা চলছে, মৌমিতার অবস্থা গুরুতর বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। পাশের ঘরে থাকা কাকা বিমল বাবু বলেন, 'এই বিষয়ে আমরা কোনও টেরই পাইনি। কী করে ঘটনা ঘটল তা আমরা নিজেরাই ভাবতে পারছি না।' অন্যদিকে, এলাকার উপপ্রধান পবিত্র রায় বলেন, 'বিষয়টি দুঃখজনক। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল সেটা পুলিসের দেখার বিষয়। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে। সেই সঙ্গে ঘরটি সিল করে দিয়ে গিয়েছে পুলিস।' এলাকাবাসীরা বলেন আমরা চাই পুলিস ঘটনার তদন্ত করে এই ঘটনার কিনারা করুক। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)