নকিব উদ্দিন গাজী: ফের কুমির আতঙ্ক! এবার শুধু কুমির নয়, কুমিরের সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে কতকগুলি ডিম। আশঙ্কা করা হচ্ছে এলাকায় অবাধে কুমির ঢুকে পড়ছে এবং এলাকাটা নিরিবিলি হওয়ায় সেখানে কুমির ডিমও পাড়ছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় রীতিমতো ছড়িয়েছে কুমির আতঙ্ক।
পাথরপ্রতিমার ব্রজবল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট রাক্ষসখালি এলাকায় লোকালয় থেকে উদ্ধার হল পূর্ণবয়স্ক এক কুমির। এছাড়াও কুমিরের প্রায় ৪০টি ডিম উদ্ধার হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিহর বেরা তাঁর বাগানে আম পাড়তে গিয়েছিলেন। সেই সময় একটি কুমির তাঁর দিকে তেড়ে আসে। তিনি চিৎকার চেঁচামেচি করলে স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে ছুটে আসেন।
এরপরই হরিহর বাবুকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়। খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। পরে বনদফতরের কর্মীরা এসে ওই নয় ফুটের দৈর্ঘ্যে কুমিরটিকে উদ্ধার করে। একইসঙ্গে কুমিরের ডিমও উদ্ধার হয়েছে।
বনদফতরের প্রাথমিক অনুমান, ওই এলাকাটি ঝোপঝাড় ছিল বলে কার্জন ক্রিক নদী থেকে কুমিরটি উঠে এসে ডিম পেড়ে ছিল। জানা যাচ্ছে, ডিমগুলিকে কুমির প্রকল্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বনদফতর সূত্রে খবর, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর কুমিরটিকে নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে।
আগেও কুমিরের দেখা মিলেছিল মাঝগঙ্গায়। তখনও এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। নবদ্বীপের পর শান্তিপুরের নৃসিংহপুর ফেরিঘাটেও তার দেখা মেলে। শান্তিপুরের নৃসিংহপুর ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় গঙ্গায় দেখা মিলেছিল একটা কুমিরের। জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে নৃসিংহপুর ফেরিঘাট এলাকায় ভাগীরথী নদীতে কুমির দেখতে পান নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে লঞ্চের চালক এবং সাধারণ মানুষেরা।
সেই কুমিরের ভিডিয়োও করেছেন সবাই। আর এর জেরে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছিল নদী সংলগ্ন এলাকাবাসীদের মধ্যে। গঙ্গায় কুমীর দেখতে পাওয়ার পরই শান্তিপুর প্রশাসনের তরফে মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়। এর আগে নদীয়ারই নবদ্বীপের রানির ঘাটে গঙ্গায় কুমির দেখা গিয়েছিল। বিশাল আকারের সেই কুমির দেখতে পাওয়ার পরই আতঙ্ক ছড়ায়।
নদীয়ার নবদ্বীপের রানির ঘাটে প্রতিদিনের মতো গঙ্গায় স্নান করতে যাওয়া সাধারণ মানুষ থেকে পুণ্যার্থীদের চোখেই প্রথম পড়ে কুমিরটি। হঠাৎ করেই গঙ্গায় ভাসতে দেখা যায় বিশালাকার এক কুমিরকে। তারপরই আতঙ্কে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন নদী পাড়ে থাকা পুণ্যার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষরা। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় প্রশাসনকে।
আবারও কুমিরের আতঙ্কতে পাথরপ্রতিমার ব্রজবল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট রাক্ষসখালি এলাকা কাঁপছে। সেখানকাত বাসিন্দাদের দাবি, এখানে আরও কুমির যেকোনও সময় চলে আসতেই পারে।