• অ্যাকশন মুডে রামলাল, পথ আটকে ‘হাতিগিরি’
    এই সময় | ০২ জুন ২০২৫
  • বুদ্ধদেব বেরা , ঝাড়গ্রাম

    হাতির ভয়ে ঝাড়গ্রামের অনেক গ্রামেই জামাইরা ষষ্ঠী করতে আসেননি। যাঁরা এসেছিলেন সাহস করে রামলালের কীর্তিতে পরের বার তাঁরাও আসবেন কি–না সন্দেহ। জামাইষষ্ঠীর দিন সকাল থেকেই রামলালকে দেখা গেল অ্যাকশন মুডে। নাম রামলাল হলেও আদতে সে অতিকায় হাতি। রবিবার সকাল থেকেই রামলাল জঙ্গল থেকে বেরিয়ে জিতুশোল এলাকার একটি রাইস মিলে ঢুকে চাল খেয়েছে।

    জিতুশোল থেকে শালবনির যাওয়ার পথে রাজ্য সড়কের উপরে আম পেড়ে খেয়েছে সে। রামলালের অতিকায় চেহারা দেখে সে সময়ে থমকে গিয়েছিল রাজ্য সড়কের যানবাহন।

    স্থানীয়রা জানিয়েছে আম আর কাজুর লোভে গত তিন মাস ধরে ঝাড়গ্রামের লোধাশুলি রেঞ্জের শালবনি ও গড় শালবনি এলাকায় রয়েছে রামলাল। গত কয়েক বছর ধরে এই এলাকাতেই ঘোরাফেরা করছে সে। কাজেই রামলালকে নিয়ে বাসিন্দারা সে ভাবে ভীত নয়। আবার রামলালও তেমন ভাবে কারোর ক্ষতি কখনও করেনি। খিদে পেলে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে।

    আম–কাজু–চাল খেয়ে পেট ভরিয়ে আবার জঙ্গলে ফিরে যায়। গ্রামবাসীরা তাকে পছন্দও করে। কিন্তু গত কয়েক মাসে খাবারের জন্য ঝাড়গ্রামের একাধিক এলাকায় এমন দাপাদাপি চালিয়েছে সে তাতে গ্রামবাসীরা বেশ বিরক্ত হচ্ছেন। এ দিন হঠাৎ করে দুপুর একটার দিকে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে গড় শালবনির বিকাশ ভারতী স্কুলের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে রামলাল। তার জেরে প্রায় তিরিশ মিনিট ধরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় রাজ্য সড়কে।

    জিতুশোল গ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মাহাতো বলেন,‘এদিন সকাল থেকে রামলাল নিজের মেজাজে রাস্তার মধ্যে ঘুরেছে। যদিও কারোর কোন ক্ষতি করেনি।’ লোধাশুলি রেঞ্জে এক আধিকারিক বলেন,‘রামলাল কয়েক মাস ধরে আমাদের এলাকাতেই রয়েছে। প্রতিমুহূর্তে তার উপরে নজর রাখা হয়।’ বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, লোধাশুলি রেঞ্জের শালবনি এলাকায় রামলাল– সহ আরও দু’টি রেসিডেন্সিয়াল হাতি রয়েছে। এ বার আমলাচটিতে আরও ৪৫টি হাতির একটি দলও এসেছে।’

  • Link to this news (এই সময়)