• বুকে ব্যথা নিয়েই যোগ দিতে যাচ্ছিলেন শাহি সভায়, পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানের
    আনন্দবাজার | ০২ জুন ২০২৫
  • রাত থেকেই বুকে মৃদু ব্যথা অনুভব করছিলেন। বিষয়টা জানতেন তাঁর স্ত্রী ও পরিবার। তা সত্ত্বেও পরিবারের নিষেধ উপেক্ষা করে তীব্র গরমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় যাবেন বলে মনস্থির করেছিলেন। সেটাই কাল হল। পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানের।

    শাহের নেতাজি ইন্ডোরের সভায় যোগ দিতে রবিবার সকালেই ট্রেন ধরে বেরিয়ে পড়েছিলেন নদিয়ার হাঁসখালি ময়ূরহাট ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীপঙ্কর দাস। কিন্তু যাত্রাপথে আচমকা অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন দীপঙ্কর। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুকে ব্যথা নিয়েই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বিজেপি নেতার। পঞ্চায়েত প্রধানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতৃত্বও। দলের নেতার আকস্মিক মৃত্যুতে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা শোকস্তব্ধ।

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে ট্রেনে চেপে শাহের সভার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন দীপঙ্কর। কিন্তু পথে বুকে যন্ত্রণা অনুভব করায় তড়িঘড়ি তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়েরা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। অন্য দিকে, প্রধানের মৃত্যুসংবাদ বাড়িতে পৌঁছোতেই ভেঙে পড়েন স্ত্রী ও পরিজনেরা। বাড়িতে ভিড় জমান কর্মী-সমর্থকেরাও।

    বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য উজ্জ্বল বিশ্বাসের কথায়, ‘‘উনি অমিত শাহকে খুব ভালবাসতেন। ওঁর বক্তৃতা শোনার জন্যই যাচ্ছিলেন। এমন প্রাণবন্ত মানুষকে আমরা চিরদিন মনে রাখব।’’ রাজনৈতিক মতপার্থক্য দূরে সরিয়ে রেখে শোকপ্রকাশ করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও। স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিপুল ঘোষ বলেন, ‘‘রাজনৈতিক মতাদর্শে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে দীপঙ্করবাবু একজন সৎ, ন্যায়নিষ্ঠ, এবং দলের অনুগত কর্মী ছিলেন বলেই জানি। তাই তীব্র গরমের মধ্যেও শরীর খারাপকে উপেক্ষা করে ছুটে গিয়েছিলেন কলকাতায়। রাজনীতি ছাড়াও তিনি সর্বদা সমাজের বিভিন্ন ভাল কাজে যুক্ত থাকতেন। স্থানীয়েরাও তাঁর উপর ভরসা করতেন।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)