• ‘জামাই চাই জামাই’, ষষ্ঠী খাওয়ার লোভে ভাড়া খাটতে চাইলেন তিন ‘বিয়ে পাগল’ যুবক
    আনন্দবাজার | ০২ জুন ২০২৫
  • ‘‘এ সুযোগ পাবে না আর/ বল ভাই কী দাম দেবে…’’ জামাইষষ্ঠীতে এই ভাবেই ‘ভাড়া’ খাটতে চাইলেন ‘হরেক জামাই’। রবিবার তিন ‘বিয়ে পাগল’ যুবকের কীর্তি দেখা গেল পূর্ব বর্ধমানের গুসকরাতে।

    ‘‘জামাই লাগবে না কি? কেমন জামাই? মোটাসোটা, ফর্সা না কি কালো?’’ শহরের হাটতলা, বাস স্ট্যান্ড-সহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরে তিন যুবক এ ভাবে নিজেরাই জেনে নিতে চাইছেন বিভিন্ন তরুণী বা তাঁদের মায়েদের কাছ থেকে। পরণে রীতিমত জামাই-বেশ। পাজামা-পাঞ্জাবির সঙ্গে মাথায় টোপর। এক হাতে মাছ, অন্য হাতে দই-মিষ্টির ভাঁড়। হাঁক পেড়ে চলছে ‘সেল’ বিজ্ঞাপন। সঙ্গে প্রতিশ্রুতি ‘ডিসকাউন্ট’-এর। তাতেও কাজ দিচ্ছে না দেখে অবশেষে কাকুতি-মিনতি। ‘বিয়ে পাগল’ শুভজিৎ পাত্র, রোহন সাঁতরা ও সোমনাথ পালিতের ‘কীর্তি’ দেখে হাসছেন স্থানীয়রা।

    ‘রসিক’ কনেপক্ষ-ও অবশ্য দেখা গিয়েছে। পথচলতি এক জন এক যুবককে পছন্দ করলেও শেষমেশ বাতিল করে দিলেন মাছের পিস পছন্দ না হওয়ার দরুণ। তাতেও অদম্য ‘ভাড়াটে জামাই’রা। অন্যদের কাছে গিয়ে আবেদন, শুধু পেট পুরে খেতে দিলেই জামাই হতে রাজি তাঁরা। আর কোনও দাবি নেই। ‘বিশেষ ছাড়’ দেওয়া প্রসঙ্গে তাঁদের ‘আশ্বাস’, ‘‘আটশো টাকা কেজি খাসির মাংস লাগবে না। একটু পুঁটি মাছের ঝাল বা ডিম ভাত হলেই হবে। নিদেন পক্ষে নিরামিষ।’’ তাঁদের ‘আবদার’ ষষ্ঠীর দিনে একটু জামাই আদর ও যত্নআত্তি আশা করা কি খুব ভুল?

    মজা ও ভিডিয়োর মাঝে ফুরসত পেয়ে ‘সুলভ’ জামাইরা জানাচ্ছেন, ১০ বছর ধরে লাগাতার চেষ্টা করলেও তাঁদের ভাগ্যে বিয়ের ফুল ফোটেনি। তাই ‘দুঃখ’কে সম্বল করেই লোকের মুখে হাসি ফোটানোর এই ভাবনা।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)